|
প্রিন্টের সময়কালঃ ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৩:০৮ পূর্বাহ্ণ     |     প্রকাশকালঃ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১২:০৪ অপরাহ্ণ

খালেদা জিয়ার খালাসের বিরুদ্ধে আপিলের শুনানি ২ মার্চ


খালেদা জিয়ার খালাসের বিরুদ্ধে আপিলের শুনানি ২ মার্চ


.ঢাকা প্রেস নিউজ

 

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় সাত বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগের শুনানি আগামী ২ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে। রাষ্ট্রপক্ষ ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ রোববার আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ এ তারিখ নির্ধারণ করেন।
 

এর আগে, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি, হাইকোর্টের দেওয়া খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। উল্লেখ্য, গত বছরের ২৭ নভেম্বর বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ খালেদা জিয়াকে এ মামলায় খালাস প্রদান করেন।
 

রায়ের মাধ্যমে খালেদা জিয়ার পাশাপাশি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীর একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র প্রয়াত সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খানও খালাস পান।

 

হাইকোর্টে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, আর দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আসিফ হাসান।
 

হাইকোর্টের রায়ের দিন আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও কায়সার কামাল বলেন, "বিএনপি চেয়ারপারসনের দণ্ড মওকুফ করা হয়েছে, তবুও আপিল শুনানি কেন? তিনি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, তবে তিনি অপরাধী নন এবং ক্ষমাও চাননি। তাই আইনগতভাবে মামলাটি মোকাবিলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।"

 

২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক মো. আখতারুজ্জামান (বর্তমানে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি) জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেন। জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। একই সাজা হয়েছিল মামলার অপর তিন আসামিরও।
 

দণ্ডপ্রাপ্ত অন্য তিনজন হলেন:

  • সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী (প্রয়াত)
  • তার একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না
  • ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র প্রয়াত সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান
     

হারিছ চৌধুরী রায়ের সময় পলাতক ছিলেন এবং পরবর্তীতে তার মৃত্যু হয়। অন্য দুই আসামি হাইকোর্টে আপিল করেন।

 

২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলাটি দায়ের করে দুদক। ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে মামলাটি করা হয়। তদন্ত শেষে ২০১২ সালে চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক।
 

২০১৪ সালের ১৯ মার্চ আদালত মামলার চার আসামির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করেন। সাক্ষ্যগ্রহণ ও যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের পর ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর রায় ঘোষণা করা হয়।
 

হাইকোর্টের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশের পর রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) দায়ের করে, যার শুনানি ২ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে।


সম্পাদকঃ সারোয়ার কবির     |     প্রকাশকঃ আমান উল্লাহ সরকার
যোগাযোগঃ স্যুইট # ০৬, লেভেল #০৯, ইস্টার্ন আরজু , শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণি, ৬১, বিজয়নগর, ঢাকা ১০০০, বাংলাদেশ।
মোবাইলঃ   +৮৮০ ১৭১১৩১৪১৫৬, টেলিফোনঃ   +৮৮০ ২২২৬৬৬৫৫৩৩
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫