মিসরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন চলছে

প্রকাশকালঃ ১০ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৩:৫৬ অপরাহ্ণ ২৭৩ বার পঠিত
মিসরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন চলছে

মিসরে আজ রোববার থেকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। তিন দিন ধরে স্থানীয় সময় সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলবে।

১৮ ডিসেম্বর নির্বাচনের ফল ঘোষণা করার কথা আছে।

সমালোচকেরা বলছেন, মিসরে দশক ধরে ভিন্নমতাবলম্বীদের ওপর ধরপাকড় চালানোর পর আয়োজিত এ নির্বাচন সাজানো। তবে সরকারি সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, এ নির্বাচন রাজনৈতিক বহুত্ববাদের দিকে যাওয়ার একটি পদক্ষেপ।

একে তো মিসর অর্থনৈতিক সংকটে আছে। দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতি দেখা দিয়েছে, দেশটি রেকর্ড মূল্যস্ফীতির দুয়ারে দাঁড়িয়ে আছে। সিসি আবারও ছয় বছরের মেয়াদে ক্ষমতায় ফিরলে তাঁকে এসব সমস্যার সমাধানকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। তার মধ্যে আবার সীমান্তবর্তী গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল ও হামাসের যুদ্ধ চলছে। এ যুদ্ধের প্রভাব যেন মিসরে ছড়িয়ে না পড়ে, তাও নিশ্চিত করতে হবে সিসিকে।

 

নির্বাচনে সিসির বিরুদ্ধে যে তিন প্রার্থী লড়াই করছেন, তাঁরা খুব পরিচিত কেউ নন। সিসির বিরুদ্ধে লড়ার জন্য সবচেয়ে সম্ভাবনাময় যে প্রার্থী ছিলেন, তিনিও অক্টোবরে নির্বাচনের মাঠ থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দেন। তিনি অভিযোগ করেন, দুর্বৃত্ত ও কর্মকর্তারা তাঁর সমর্থকদের ওপর হামলা চালিয়েছেন। তবে মিসরের জাতীয় নির্বাচন কর্তৃপক্ষ অভিযোগটি অস্বীকার করেছে।

মিসরের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোকে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করে মিসরীয় কর্তৃপক্ষ। তারা স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ব্যবহার করে জনগণকে ভোট দেওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছে। তবে মিসরের জনগণের কেউ কেউ বলছেন, কখন নির্বাচন হবে, তা ভোটের কয়েক দিন আগেও তাঁদের জানা ছিল না। আবার কেউ কেউ বলছেন, ভোটে তেমন কোনো পরিবর্তন আসবে না।

 

 

৩৫ বছর বয়সী বিপণন নির্বাহী আয়া মোহামেদ বলেন, ‘নির্বাচন হচ্ছে আমি জানি। তবে কখন হচ্ছে, তা জানা নেই। এতটুকু আমি জানি কারণ, রাস্তায় রাস্তায় সিসির পক্ষে বড় বড় প্রচারণা চালাতে দেখেছি। নির্বাচন নিয়ে আমার আলাদা কোনো ভাবনা নেই। কারণ, এতে সত্যিকারে কোনো পরিবর্তন আসবে না।

মিসরে প্রথম গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির বিরুদ্ধে ২০১৩ সালে অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেন সিসি। পরের বছর ৯৭ শতাংশ ভোট নিয়ে সিসি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। এর পর থেকে সিসির নেতৃত্বাধীন সরকার লিবারেল ও বামপন্থী অ্যাকটিভিস্টদের বিরুদ্ধে ধরপাকড় চালাতে থাকে। কারাবন্দী করা হয় কয়েক হাজার মানুষকে। ২০১৮ সালে সিসি ৯৭ শতাংশ ভোট নিয়ে পুনর্নির্বাচিত হন।