ভারতে সামাজিক মাধ্যমে নজরদারি: কলকাতা হত্যাকাণ্ডের জেরে

প্রকাশকালঃ ২০ আগu ২০২৪ ০৫:১৮ অপরাহ্ণ ৪৯৯ বার পঠিত
ভারতে সামাজিক মাধ্যমে নজরদারি: কলকাতা হত্যাকাণ্ডের জেরে

ঢাকা প্রেস
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:-


কলকাতার আর.জি. কর মেডিকেল কলেজে এক নারী চিকিৎসকের নৃশংস হত্যাকাণ্ডে গোটা ভারত জুড়ে তীব্র প্রতিবাদ দেখা দিয়েছে। এই ঘটনায় দোষীদের ফাঁসির দাবি জানিয়ে কলকাতা সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মানুষ রাস্তায় নেমেছে। বিরোধী দলগুলিও এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা করছে।

 

সামাজিক মাধ্যমে নজরদারি:

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সামাজিক মাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। তবে, সরকার এই পরিস্থিতিতে সামাজিক মাধ্যমে নজরদারি বাড়িয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এই ঘটনা নিয়ে যেসব পোস্ট সরকারের কাছে আপত্তিকর মনে হচ্ছে, সেগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। অনেকেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছে।
 

সরকারের দাবি:

সরকার দাবি করেছে, এই নজরদারির উদ্দেশ্য হলো মিথ্যা তথ্য ছড়ানো এবং হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা বন্ধ করা। তবে, বিরোধী দলগুলি এবং মানবাধিকার কর্মীরা দাবি করছেন, এই নজরদারির ফলে জনগণের মত প্রকাশের স্বাধীনতা হুমকির মুখে পড়েছে।
 

প্রশ্ন উঠেছে:

  • সরকার কি সত্যিই মিথ্যা তথ্য ছড়ানো বন্ধ করতে চায়, নাকি বিরোধী মতকে দমন করতে?
  • সামাজিক মাধ্যমে নজরদারি বাড়ানোর ফলে আসলেই কি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নত হবে?
  • জনগণের মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং নিরাপত্তার মধ্যে সঠিক ভারসাম্য রাখা কীভাবে সম্ভব?

 

কলকাতার এই ঘটনা ভারতের সমাজে নারীর নিরাপত্তা এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তুলে ধরেছে। এই ঘটনার জেরে সরকার এবং জনগণের মধ্যে দ্বন্দ্ব বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে সবার উচিত শান্তিপূর্ণভাবে সমাধানের পথ খুঁজে বের করা।