নোয়াখালী জেলা বর্তমানে ভয়াবহ বন্যার কবলে। ফেনীর মহুরী নদীর পানি ঢুকে জেলার নয়টি উপজেলা প্লাবিত হয়েছে। প্রায় ২০ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
বৃষ্টি ও নদীর পানি বৃদ্ধি: বন্যার কারণ
টানা বৃষ্টিপাত ও মহুরী নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে এই ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। জেলা শহর মাইজদীসহ বিভিন্ন এলাকা জলাবদ্ধ হয়ে পড়ায় জেলার সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
জনজীবন বিপর্যস্ত: ক্ষয়ক্ষতির বিস্তার
বন্যার কারণে জনজীবন চরম বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বাড়িঘর, রাস্তাঘাট, ফসলের মাঠ পানির নিচে চলে গেছে। নোয়াখালী পৌরসভার অনেক বাড়ি ও দোকানপাটে পানি ঢুকেছে। মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রের দিকে ছুটছে।
স্বাস্থ্যঝুঁকি ও যোগাযোগ ব্যবস্থা বিঘ্নিত
পানি জমে থাকায় মশা ও অন্যান্য রোগবাহী পোকার উপদ্রব বেড়েছে, ফলে অনেক শিশু ও বয়স্ক অসুস্থ হয়ে পড়ছে। এছাড়া, গ্রামীণ সড়কগুলো বন্ধ থাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের উদ্যোগ
নোয়াখালীর জেলা প্রশাসন বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তবে, পরিস্থিতি এখনও গুরুতর।
আবহাওয়া অফিসের তথ্য
জেলা আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘন্টায় নোয়াখালীতে ৭১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
সারসংক্ষেপ
নোয়াখালীতে চলমান বন্যা পরিস্থিতি জনজীবনকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে। সরকার ও সংশ্লিষ্ট সকলের তাৎক্ষণিক উদ্যোগের প্রয়োজন এই বিপর্যয় মোকাবিলায়।