ঢাকা প্রেস নিউজ
পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ 'বেসরকারি চাকরিজীবী' হিসেবে পরিচয় দিয়ে চারটি পাসপোর্ট নিয়েছিলেন বলে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তদন্তে জানা গেছে।
এই বিষয়ে তদন্ত করার জন্য, দুদকের বিশেষ অনুসন্ধান টিম গত মঙ্গলবার (২৫ জুন) ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর এবং পুলিশের মোট ১৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
দুদকের একটি সূত্র জানায়:
বেনজীর আহমেদ ২০১০ সালের ১৪ অক্টোবর প্রথম পাসপোর্ট নেন। তিনি 'সার্ভিস' পেশা উল্লেখ করে সাধারণ ক্যাটেগরির সবুজ পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেছিলেন। একজন সরকারি কর্মকর্তী হিসেবে, তার নীল রঙের অফিসিয়াল পাসপোর্ট নেওয়া বাধ্যতামূলক ছিল। তিনি লাল পাসপোর্টের জন্যও যোগ্য ছিলেন, তবে তিনি তাও নেননি। বেনজীর মোট চারবার তার পাসপোর্ট নবায়ন করেছেন।
অভিযোগ:
ক্ষমতার অপব্যবহার করে এবং প্রভাব খাটিয়ে বেনজীর অফিসিয়াল পাসপোর্ট না নিয়ে সাধারণ পাসপোর্ট নিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে তিনি তার প্রকৃত পরিচয় গোপন করেছিলেন।
দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ:
গতকাল পাসপোর্ট অধিদপ্তরের আট কর্মকর্তাসহ মোট ১৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তারা তাদের কাজের ব্যাখ্যা দিয়েছেন। দুদক বলেছে যে যদি পাসপোর্ট তৈরিতে জালিয়াতির প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে সংশ্লিষ্টদের আইনের আওতায় আনা হবে।
জিজ্ঞাসাবাদকারী দল:
দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. হাফিজুল ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি টিম তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। টিমের অন্যান্য সদস্যরা হলেন সহকারী পরিচালক নেয়ামুল আহসান গাজী ও মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন।
যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে: