১১ মাস ধরে রৌমারী শুল্ক স্টেশনে পাথর আমদানি বন্ধ, শ্রমিকরা দুঃসহ জীবনে

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৪:৩৮ অপরাহ্ণ   |   ১৬৪ বার পঠিত
১১ মাস ধরে রৌমারী শুল্ক স্টেশনে পাথর আমদানি বন্ধ, শ্রমিকরা দুঃসহ জীবনে

আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:-

 

টানা ১১ মাস ধরে কুড়িগ্রামের রৌমারী শুল্ক স্টেশনে পাথর আমদানি বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, প্রতি ট্রাকে ১২ মেট্রিক টন পাথর আমদানি করা হলেও শুল্ক নির্ধারণ করা হয়েছে ২৫ মেট্রিক টনের হিসাবে, যা তাদের জন্য চরম লোকসানের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে তারা বাধ্য হয়ে ব্যবসা বন্ধ রেখেছেন, আর শ্রমিকরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
 

কখনো কর্মচাঞ্চল্যে মুখর থাকা রৌমারী শুল্ক স্টেশন এখন বিরান ভূমি। ফাঁকা পড়ে আছে পাথর রাখার মাঠ, বন্ধ হয়ে গেছে পাথর ভাঙার মেশিন। ব্যবসায়ীরা জানান, নতুন শুল্ক স্টেশন হওয়ায় এখানকার অবকাঠামোগত উন্নয়ন এখনও হয়নি, যা আমদানি কার্যক্রমে বাধার সৃষ্টি করছে।
 

শুল্ক স্টেশন দিয়ে আমদানি বন্ধের মূল কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা অনিয়মিত শুল্ক আরোপের বিষয়টি তুলে ধরেন। প্রতি ট্রাকে ১২ মেট্রিক টনের বেশি পাথর বহন করা সম্ভব না হলেও, কাস্টমস কর্তৃপক্ষ শুল্ক নির্ধারণ করেছে ২৫ মেট্রিক টনের হিসেবে। এতে আমদানির খরচ অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ায় ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।
 

রৌমারী শুল্ক স্টেশনের আমদানি-রফতানি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আলেপ উদ্দিন জানান, গত নভেম্বরে শুল্ক হ্রাসের জন্য আবেদন করা হলেও এখন পর্যন্ত তা কার্যকর হয়নি। তিনি আশা প্রকাশ করেন, শুল্ক কমানো হলে ব্যবসা আবার সচল হবে এবং শ্রমিকদের দুর্দশাও লাঘব হবে।
 

শ্রমিকদের দুর্ভোগ চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। তারা জানান, পাথর আমদানি বন্ধ থাকায় তাদের আয় বন্ধ হয়ে গেছে, ফলে সংসার চালাতে চরম সংকটে পড়তে হচ্ছে।
 

এ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন সমাধানের আশ্বাস দিয়েছে। কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাসেল দিও জানান, সরকারিভাবে শুল্ক স্টেশনটি পুনরায় চালুর জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং আশা করা যাচ্ছে, খুব শিগগিরই সমস্যার সমাধান হবে।
 

উল্লেখ্য, ২০১৮ সাল থেকে রৌমারী শুল্ক স্টেশন দিয়ে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম শুরু হয়।