গত কয়েক বছরে ‘বিজয়া’, ‘কণ্ঠ’, ‘রবিবার’, ‘বিনিসুতোয়’, ‘ঝরা পালক’—পশ্চিমবঙ্গের একের পর এক প্রশংসিত সিনেমায় দেখা গেছে জয়া আহসানকে। সে তুলনায় বাংলাদেশে মুক্তি পাওয়া সিনেমার সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কম। কিন্তু কেন ঢাকার চেয়ে কলকাতায় বেশি কাজ করেছেন তিনি? ভারতীয় দৈনিক সংবাদ প্রতিদিনে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে এ প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন তিনি।
আগামী ২ জুন পশ্চিমবঙ্গে মুক্তি পাবে কৌশিক গাঙ্গুলির সিনেমা ‘অর্ধাঙ্গিনী’। ছবিতে অভিনয় করেছেন জয়া আহসান। ‘বিজয়া’, ‘বিসর্জন’-এর পর এবার তৃতীয়বারের মতো কৌশিক গাঙ্গুলির সঙ্গে কাজ করেছেন বাংলাদেশি অভিনেত্রী।
ছবিটির মুক্তি উপলক্ষে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নানা প্রসঙ্গে কথা বলেছেন জয়া।
গত কয়েক বছরে ঢাকার চেয়ে কলকাতায় কেন বেশি কাজ করেন—এ প্রশ্নের উত্তরে জয়া বলেন, ‘এখানে পরপর কিছু ভালো কাজ পেয়েছি। নিজের দেশেও কাজ করেছি, তবে এখানে একটু বেশি। এখন আবার ভেবেছি বাংলাদেশের কাজের ওপর ফোকাস করব। তা ছাড়া আমি নিজেকে একটা ব্রেকও দিয়েছিলাম।
নিজেকে, পরিবারকে সময় দিয়েছি। নিজের কিছু ব্যক্তিগত কাজ থাকে—সেগুলোকে প্রাধান্য দেওয়া। শুধু আলসেমি করতে ইচ্ছে করে বা একেবারে কিছু না করা—এটাও বোধ হয় একজন অভিনেতার খুব দরকার! কিছু করব না, ছবিও দেখব না, পড়বও না, আলসেমি করব, ঘুমাব, খাব—এটাও দরকার আছে।’
২০১৩ সালে ‘আবর্ত’ দিয়ে কলকাতার সিনেমায় অভিনয় শুরু হয়েছিল জয়া আহসানের। এরপর গত ১০ বছরে করেছিলেন আরও বেশ কয়েকটি সিনেমা। কলকাতায় কাজ করে জয়ার বড় পাওয়া কী?
এ প্রশ্নের উত্তরে জয়া বলেন, ‘আমি দ্বিতীয় একটা দেশ পেয়ে গিয়েছি। ছোটবেলা থেকে এত গল্প শুনেছি, ইন্ডিয়াকে কখনো আলাদা একটা দেশ ভাবতাম না। বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন, তিনি বলতেন ইন্ডিয়া আমাদেরই দেশ। বাবা সব সময় দুই দেশের কথা বলতে গিয়ে “আমরা” করেই বলতেন।
কলকাতাকে আলাদা করে দেখেননি। সেটাকে নতুন করে পাওয়া কাজের মধ্য দিয়ে। বাবা বেঁচে থাকলে খুব খুশি হতেন। এখান থেকে অ্যাওয়ার্ড নিচ্ছি, এখানকার মানুষ আমাকে ভালোবেসেছে, এটা দেখতে পেলে বাবা ভীষণ খুশি হতেন। এই সময়ে দাঁড়িয়ে বাবাকে খুব মিস করি।’