ঢাকা প্রেস
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদে আবারো রেকর্ড পরিমাণ দান পাওয়া গেছে। শনিবার সকালে মসজিদের ৯টি দানবাক্স খুলে এর মধ্য থেকে ২৮ বস্তা টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। এটি গত কয়েক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পরিমাণ দান।
কিশোরগঞ্জ শহরের নরসুন্দা নদীর তীরে অবস্থিত এই মসজিদটি দেশব্যাপী পরিচিত তার অলৌকিক ক্ষমতার জন্য। মানুষ বিশ্বাস করে যে, এই মসজিদে দান করলে মনোবাসনা পূর্ণ হয়। এই বিশ্বাসের কারণেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লোকজন এখানে দান করতে আসেন।
মসজিদ কর্তৃপক্ষের মতে, প্রতি তিন থেকে চার মাস পরপর দানবাক্সগুলো খোলা হয়। এবারের দানের পরিমাণ গতবারের তুলনায় অনেক বেশি। এর আগে ২০ এপ্রিল খোলা হলে ৭ কোটি ৭৮ লাখ টাকা পাওয়া গিয়েছিল।
এই মসজিদের ইতিহাস:
জনশ্রুতি অনুযায়ী, এক সময় এক আধ্যাত্মিক পাগল সাধকের বাস ছিল এই স্থানে। তার দেহাবসানের পর এই স্থানটিতে একটি মসজিদ নির্মিত হয়। ধীরে ধীরে এই মসজিদটি মানুষের বিশ্বাসের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়।
দানের টাকা কীভাবে ব্যবহৃত হয়?
দানবাক্স থেকে পাওয়া টাকা মসজিদের রক্ষণাবেক্ষণ, মাদ্রাসা চালানো এবং অন্যান্য ধর্মীয় কাজে ব্যবহৃত হয়।
কেন পাগলা মসজিদ এত জনপ্রিয়?
পাগলা মসজিদ বাংলাদেশের একটি অন্যতম জনপ্রিয় ধর্মীয় স্থান। মানুষের বিশ্বাস এবং দানের কারণে এই মসজিদটি দিন দিন আরো জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।