সরকারের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঋণের পরিমাণ

প্রকাশকালঃ ২১ মে ২০২৪ ১১:৫৪ পূর্বাহ্ণ ৫৫৮ বার পঠিত
সরকারের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঋণের পরিমাণ

কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ছাপানো টাকায় চলতি অর্থবছরের মার্চ পর্যন্ত সরকার নতুন কোনো ঋণ নেয়নি। বরং আগের ঋণ থেকে ৩৬ হাজার কোটি টাকা পরিশোধ করেছে। এতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে সরকারের ঋণ কিছুটা কমলেও গত অর্থবছরে নেওয়া ঋণের এখনো ৬২ হাজার কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। যে কারণে ছাপানো টাকার নেতিবাচক প্রভাব এখনো মূল্যস্ফীতিতে পড়ছে। ফলে এ হার এখনো নিয়ন্ত্রণের বাইরে। এদিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে সরকারের নেওয়া ঋণের স্থিতি মার্চ পর্যন্ত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ২২ হাজার কোটি টাকায়।

 

 

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, গত অর্থবছরের বৈশ্বিক মন্দার কারণে রাজস্ব আয় কমে গেলে এবং বাড়তি ব্যয় মেটাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে রেকর্ড পরিমাণ ঋণ নিয়েছিল সরকার। এর পরিমাণ ছিল প্রায় ৯৮ হাজার কোটি টাকা। ওই সময়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে সরকারের ঋণ স্থিতি ছিল ১ লাখ ৪৮ হাজার কোটি টাকা।

 

চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে মার্চ পর্যন্ত সরকারের ঋণ স্থিতি কমে ১ লাখ ২২ হাজার কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। আলোচ্য সময়ে ঋণ স্থিতি কমেছে ২৬ হাজার কোটি টাকা। ঋণ কমেছে ১৮ দশমিক ০৫ শতাংশ। এ সময়ে নতুন কোনো ঋণ নেয়নি। বরং গত অর্থবছরে নেওয়া ঋণের সুদসহ ৩৬ হাজার কোটি টাকা পরিশোধ করেছে। ফলে ঋণ স্থিতি কিছুটা কমেছে। 


 

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, গত বছরের মার্চের তুলনায় চলতি বছরের একই সময়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে সরকারের নেওয়া ঋণ বেড়েছে ১১ হাজার ৭৭৫ কোটি টাকা। ওই সময়ে ঋণ বেড়েছে ১০ দশমিক ৭৩ শতাংশ। তবে জুলাই-মার্চের হিসাবে ঋণ কমেছে ২৬ হাজার কোটি টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে ঋণ নিয়েছিল ৪৯ হাজার ৭৪৫ কোটি টাকা।

গত অর্থবছরের জুলাই থেকে মার্চ পর্যন্ত সরকার ব্যাংক খাত থেকে ঋণ নিয়েছিল ৪৭ হাজার ৭৯৬ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের একই সময়ে ঋণ নিয়েছে ২১ হাজার ৫৫৪ কোটি টাকা। আলোচ্য সময়ে সরকারের ঋণ কমেছে ২৬ হাজার ২৪১ কোটি টাকা।

 

গত অর্থবছরের জুলাই-মার্চ সময়ে নন-ব্যাংক খাত থেকে সরকার ঋণ নিয়েছিল প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের একই সময়ে নিয়েছে প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা। এ খাত থেকে সরকারের ঋণ বেড়েছে ৭ হাজার কোটি টাকা। সঞ্চয়পত্র, ট্রেজারি বিল ও ট্রেজারি বন্ড বিক্রি করে সরকার এসব ঋণ নিয়েছে।