নিউ ইয়র্কের উইকেট নিয়ে বিতর্ক

প্রকাশকালঃ ০৬ জুন ২০২৪ ০৬:১৬ অপরাহ্ণ ১১৭ বার পঠিত
নিউ ইয়র্কের উইকেট নিয়ে বিতর্ক

আইসিসি ক্রিকেটের বাজার প্রসিদ্ধ করতে এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক করেছে যুক্তরাষ্ট্রকে। দেশটির তিনটি ভেন্যুতে সর্বোমট ১৬টি ম্যাচ হবে। যেখানে এখন অবধি ফ্লোরিডায় বিশ্বকাপের কোনো ম্যাচ হয়নি। ডালাসে ও নিউ ইয়র্কে হয়েছে দুটি করে ম্যাচ। ডালাসের রান দেখা গেলেও সমালোচনার তুঙ্গে ইয়র্কের উইকেট। এই উইকেটে কীভাবে আন্তর্জাতিক ম্যাচ হয় সেনিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন। এমনকি ধীরগতির আউটফিন্ড নিয়েও আছে অভিযোগ। নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টির আইজেনহাওয়ার পার্কের স্টেডিয়ামটি মূলত অস্থায়ী।


বিশ্বকাপের জন্যই যেটিকে তৈরি করা হয়েছে। এখানে সর্বমোট চারটি ড্রপ-ইন পিচ বসানো হয়েছে। বাংলাদেশ-ভারত আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি ম্যাচসহ তিনটি উইকেটে খেলা হয়েছে। যার সবগুলো উইকেট নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। এই মাঠে নিজেদের প্রথম ম্যাচটি খেলে জিতলেও দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক এইডেন মারক্রাম জানান, এমন উইকেট টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের জন্য আদর্শ নয়। উইকেট নিয়ে সব চেয়ে বেশি সমালোচনা হয়েছে ভারত-আয়ারল্যান্ড ম্যাচের পর। কখনো বল স্লো হয়ে যাচ্ছে তো আবার কখনো হঠাত লাফিয়ে উঠছে। বলের মান বিচার করতে গিয়ে বিপাকে পড়ছেন ব্যাটাররা। রোহিত শর্মা, রিশভ পন্ত, হ্যারি টেক্টররা একাধিকবার আঘাত পেয়েছে।


ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত ৩৭ বল খেললেও উইকেটের আচরণ পড়তে পারেননি। কাঁধে চোট পেয়ে উঠে যেতে হয় তাকে। একই মাঠে এবারের বিশ্বকাপের সবচেয়ে বড় ম্যাচ যেটিকে ধরা হচ্ছে, সেই ভারত-পাকিস্তান ধ্রুপদী লড়াই হবে আগামী ৯ জুন। ক্রিকবাজের ইংরেজি শো-এর আলোচনায় এই প্রসঙ্গ তুলে ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলে বলেন, 'আমার মনে হয় ভুল বোঝাবুঝির ভয় ছাড়াই বলতে পারি, ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ এরকম উইকেটে হতে পারে না। আমি খুবই আশা করছি যে মাঝের উইকেটটা ভালো হবে। আপনি দেখেছেন রোহিত বাহুতে আঘাত পেয়েছে, রিশভ দু-তিনবার আঘাত পেয়েছে। এটা একটা বিশাল টুর্নামেন্ট, তাদের (আইসিসি) কিছু একটা করা উচিত।'

 

ক্রিকবাজের হিন্দি শোর আলোচনায় ভারতের সাবেক ওপেনার বীরেন্দ্রর শেবাগ আইসিসিকে কাঠগড়ায় তুলে বলেন, 'নিউ ইয়র্কে আপনি খেলা দিয়েছেন কেন? বিনোদনের জন্য তাই তো? আমেরিকানরা এসে বিনোদিত হবে ইত্যাদি। কিন্তু কোন মজাই তো হচ্ছে না। অ্যাডিলেডে বানানো হলে অ্যাডিলেডের মতন উইকেট হতে হতো। ৫০ ওভারের খেলায় যেখানে তিন শর বেশি হবে। টি-টোয়েন্টিতে অন্তত দেড় শ হবে।' শেবাগ আরও বলেন, 'এই উইকেটের মান কে নির্ধারণ করেছে? আম্পায়ার? ম্যাচ রেফারি? ম্যাচ রেফারি তো আইসিসিরই। এরকম উইকেট ভারতে হলে তো কড়া নিন্দে হতো।

 

১৫-১৬ ওভারে ৯০ রানে অলআউট হয়ে যাচ্ছে। টি-টোয়েন্টিটা হচ্ছে বিনোদনের খেলা। তো আপনি এখানে বিনোদনই ছিনিয়ে নিচ্ছেন।' এদিকে এই উইকেটে খেলে যেভাবে বলের আঘাত পাচ্ছেন ক্রিকেটাররা, তাতে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে ভারতের তারকা ক্রিকেটারদের বিশ্রাম চাচ্ছেন দেশটির সমর্থকরা, যাতে টুর্নামেন্টের বাকি অংশের জন্য সুস্থ থাকতে পারেন বিরাট কোলিরা। একই সঙ্গে অভিযোগ উঠেছে, এত সময় পাওয়ার পরেও কেন তাড়াহুড়া করে মাত্র পাঁচ মাসে তৈরি করা হলো এই স্টেডিয়াম? এসব আলোচনায় মুখে কুলুপ এঁটেছে আইসিসি।