তত্ত্বাবধায়ক ও জাতীয় সরকার নয়, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন আয়োজনের দাবি করেছে এনপিপি

প্রকাশকালঃ ২৭ আগu ২০২৩ ০৪:১৫ অপরাহ্ণ ১৯৭ বার পঠিত
তত্ত্বাবধায়ক ও জাতীয় সরকার নয়, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন আয়োজনের দাবি করেছে এনপিপি

ত্ত্বাবধায়ক ও জাতীয় সরকার নয়, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন আয়োজনের দাবি করেছে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) নেতৃত্বাধীন জোট গণতন্ত্র বিকাশ মঞ্চ। প্রেস ক্লাবে ‘সংবিধান অনুযায়ী অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য মূলক নির্বাচনের দাবী’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এ দাবি করেন।

এনপিপির চেয়ারম্যান শেখ ছালাউদ্দিন ছালু বলেন, বিএনপিসহ তত্ত্বাবধায়ক সরকার চাচ্ছে। কিন্তু বিএনপি ২০০৭ সালেই তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান করে এই ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছিল এবং সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করেছে। আবার অনেকে জাতীয় সরকার চাচ্ছে। সুস্পষ্টভাবে বলতে চাই, আমরা তত্ত্বাবধায়ক সরকার চাই না, আমরা জাতীয় সরকারও চাই না। আমরা সমৃদ্ধ, উন্নত এবং আধুনিক বাংলাদেশ গড়তে বর্তমান সংবিধানের আলোকে নির্বাচন চাই। নির্বাচন কমিশনকে বলব, আইনি ক্ষমতা যথাযথভাবে প্রয়োগ করে জাতিকে একটি অবাধ, সুষ্ঠ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দেন৷ এর পাশাপাশি প্রশাসনের প্রতি দাবি জানাই প্রশাসন এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যেন নির্বাচন কমিশনকে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করে। সর্বোপরি একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে বর্তমান সরকারের পক্ষ থেকে আন্তরিক সহায়তার আহ্বান জানাই।

তিনি বলেন, দেশে গণতন্ত্র বিকাশ এবং উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার লক্ষ্য নিয়ে গণতন্ত্র বিকাশ মঞ্চের আত্মপ্রকাশ করেছিল। গণতন্ত্রকে সুসংহত ও বিকাশ এবং উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য গণতন্ত্র বিকাশ মঞ্চ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেবে ইনশাআল্লাহ৷ এর আগে ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৮৩টি আসনে প্রার্থী দিয়ে এনপিপি তার সাংগঠনিক ভিত্তি প্রমাণ করেছে। এবার আমাদের জোটে অন্যান্য দল সম্পৃক্ত হওয়ায় ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেওয়ার লক্ষে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম শুরু করেছি। আমরা বিশ্বাস করি, বর্তমান নির্বাচন কমিশনের সদিচ্ছা, আন্তরিকতা ও বলিষ্ঠ ভূমিকার মাধ্যমেই অবাধ, সুষ্ঠূ, গ্রহণযোগ্য ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করা সম্ভব৷


তিনি বলেন, আগস্ট শোকের মাস। এ মাসে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। ৭১’ এর পরাজিত বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রেক্ষাপট তৈরি করেছিল। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের ধিক্কার জানাই। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত পলাতক আসামিদের আটক করে সাজা কার্যকর করার জোর দাবি জানাচ্ছি।

এনপিপি চেয়ারম্যান বলেন, নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পরেই এনপিপির অবস্থান। আমরা পঞ্চম দল হিসেবে বিবেচিত হয়েছি। এরপরে আছে কমিউনিস্ট পার্টি। বাংলাদেশের টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া পর্যন্ত এনপিপি ও গণতন্ত্র বিকাশ মঞ্চের নেতা-কর্মী আছেন। বাংলাদেশের ৬৪ জেলায় আমাদের কমিটি আছে এবং ৪০টি জেলাতে দলীয় কার্যালয় আছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, জাতীয়তাবাদ ও ধর্মীয় মূল্যবোধের ভিত্তিতে বিকল্প রাজনৈতিক শক্তি গড়ে তোলার প্রত্যয় গণতন্ত্র বিকাশ মঞ্চকে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

এনপিপির চেয়ারম্যান শেখ ছালাউদ্দিন ছালুর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন এনপিপির সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য ও গণতন্ত্র বিকাশ মঞ্চের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল হাই মন্ডল, মহাসচিব ও গণতন্ত্র বিকাশ মঞ্চের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য মো. ইদ্রিস চৌধুরী, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা)'র সভাপতি ও গণতন্ত্র বিকাশ মঞ্চের সদস্য সচিব এ কে এম মহিউদ্দিন আহাম্মেদ (বাবলু), ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি ন্যাপ-ভাসানীর চেয়ারম্যান ও গণতন্ত্র বিকাশ মঞ্চের দপ্তর সম্পাদক মো. আব্দুল হাই সরকার, এনপিপি'র প্রেসিডিয়াম সদস্য ও গণতন্ত্র বিকাশ মঞ্চের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য শেখ আবুল কালাম, এনপিপি'র প্রেসিডিয়াম সদস্য ও গণতন্ত্র বিকাশ মঞ্চের মুখপাত্র ছাবের আহাম্মদ (কাজী ছাব্বীর), এনপিপি'র প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ জামাল উদ্দিন, মো. ইমরুল কায়েস, বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যফ্রন্টের সভাপতি হাফেজ মাওলানা মুফতি মো. শাহাদাৎ হুসাইন, বাংলাদেশ কনজারভেটিভ পার্টি (বিসিপি)'র চেয়ারম্যান মো. আনিছুর রহমান প্রমুখ।