কোরিয়ান কিমচি তৈরির সহজ পদ্ধতি

প্রকাশকালঃ ০৯ মার্চ ২০২৪ ১০:১৫ পূর্বাহ্ণ ১৯২ বার পঠিত
কোরিয়ান কিমচি তৈরির সহজ পদ্ধতি

কে-ড্রামা থেকে শুরু করে কে-পপ, কিমচি নামটি আমাদের কাছে বেশ পরিচিত। কোরিয়ানদের কাছে ঐতিহ্যবাহী এই সাইড ডিশটি শুধু সুস্বাদুই নয়, প্রাকৃতিক প্রোবায়োটিক হিসেবেও কাজ করে। বাংলাদেশে কোরিয়ান খাবারের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির সাথে সাথে কিমচির প্রতি আগ্রহও দিন দিন বেড়ে চলেছে।


কিমচি 

একটি মাঝারি সাইজের নাপা ক্যাবেজ, ১/৪ কাপ আয়োডিন ছাড়া লবণ, ৫/৬টা রসুন গ্রেট করা, ১ চা চামচ আদার পেস্ট, ১ চা চামচ চিনি, ২ টেবিল চামচ ফিশ সস বা শ্রিম্প পেস্ট, ১ থেকে ৫ টেবিল চামচ গচুগারু বা কোরিয়ান মরিচের গুঁড়া, ১ টেবিল চামচ পেঁয়াজ বাটা


প্রনালী 

প্রথমে বাঁধাকপি ভালো করে ধুয়ে চার ভাগ করে কেটে ফেলুন। একটি বড় পাত্রে ভাগ করা বাঁধাকপিগুলোতে লবণ মেখে নিন। এমন পরিমাণে পানি দিন যাতে বাঁধাকপি পানিতে ডুবে থাকে। ভারী কিছু দিয়ে এয়ারটাইট করে ঢেকে রাখুন ২ ঘণ্টার জন্য। ঠাণ্ডা পানি দিয়ে তিনবার ধুয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিটের মতো রেখে দিন। আদা, রসুন, চিনি, স্বাদমতো গচুগারু, ফিশ সস দিয়ে মসলার পেস্ট তৈরি করুন। রেখে দেওয়া বাঁধাকপি ভালোভাবে চিপে বাড়তি পানি ফেলে দিন। বাঁধাকপির সাথে মসলার পেস্টটি ভালোভাবে মেশান। হাতে গ্লাভস ব্যবহার করলে ভালো হয়। একটি বয়ামের ওপর সামান্য জায়গা রেখে কিমচি চেপে চেপে ভরুন। ঘরের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় ১ থেকে ৫ দিনের জন্য রেখে দিন। প্রতিদিন একবার বয়াম খুলে দেখুন। এতে ফারমেন্টেশন প্রক্রিয়ার গ্যাস বের হয়ে যাবে। ফ্রিজে রেখে মজাদার কিমচি উপভোগ করুন।

 

টিপস

স্বাদ অনুযায়ী মরিচের পরিমাণ বাড়াতে বা কমাতে পারেন।
চাইলে পেঁয়াজ, গাজর, শসা, বাঁধাকপি পাতা, রসুন, আদা, লবঙ্গ, এলাচ, দারুচিনি, জিরা, ধনে ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারেন।
লবণের পরিমাণ বেশি হলে পানি দিয়ে ধুয়ে লবণ কমাতে পারেন।
ফারমেন্টেশন প্রক্রিয়া দীর্ঘ হলে কিমচির স্বাদ আরও তীব্র হবে।
কিমচি তৈরির সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে বিশেষ নজর দিন।


উপকারিত

প্রাকৃতিক প্রোবায়োটিক হিসেবে কাজ করে। হজমশক্তি বৃদ্ধি করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। ওজন কমাতে সাহায্য করে।