|
প্রিন্টের সময়কালঃ ২১ জুলাই ২০২৫ ০৪:১৯ পূর্বাহ্ণ     |     প্রকাশকালঃ ২০ জুলাই ২০২৫ ০৮:৫২ অপরাহ্ণ

সন্তান হত্যার বিচার দাবিতে রাস্তায় ব্যানার হাতে কাঁদলেন পিতা


সন্তান হত্যার বিচার দাবিতে রাস্তায় ব্যানার হাতে কাঁদলেন পিতা


আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:-


 



 

সন্তান হত্যার এক বছর পার হয়ে গেলেও তদন্তে নেই অগ্রগতি। এখনো জানা যায়নি সেই ভয়াল রাতের ঘটনা। সেদিন কি ঘটেছিল জোবায়ের আমিনের সঙ্গে! সেই রাতে জোবায়ের সঙ্গে ছিল তার দুই সহপাঠী, রাতে ঘুরতে বের হলেও আর ফেরা হয়নি বাড়িতে।

 


 

তবে পরিবারের দাবি, জোবায়ের আমিনকে ডেকে নিয়ে মেরে ব্রহ্মপুত্র নদে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। এ নিয়ে সেই সময় চিলমারী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা নথিভুক্ত হয়েছে। এতে সেই রাতে সঙ্গে থাকা দুজনসহ ছয়-সাত জনকে আসামি করা হয়।
 

দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও নথিভুক্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করতে ব্যর্থ প্রশাসন। ছেলের হত্যার বিচারের দাবি ও আসামিদের গ্রেপ্তারে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে স্থানীয় ও পরিবারের সদস্যদের মাঝে।
 

এ নিয়ে রোববার (২০ জুলাই) সকালে কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলা পরিষদের প্রধান ফটকের সামনে নারী-পুরুষের উপস্থিতিতে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে রাস্তায় দাঁড়ান নিহত জোবায়ের আমিনের বাবা আব্দুল জলিল।
 

এ সময় আহাজারি করে নিহত জোবায়ের আমিনের বাবা আব্দুল জলিল বলেন, আমি থানায় হত্যা মামলা করেছি।এজাহারে নামভুক্ত আসামিদের ধরলে তিন মিনিট সময়ের মধ্যে বের হয়ে যাবে আমার ছেলেকে কীভাবে এবং কেন মেরেছে? কারা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব বের হবে। আমার ছেলে স্কলারশিপ পেয়েছিল। প্রশাসনের কাছে করজোড়ে অনুরোধ করছি। কিন্তু এর কোনো সুরাহা পাইনি। আজকে এক বছর একদিন চলছে। আমি প্রশাসন ও পিবিআইকে দ্রুত এ মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার করতে অনুরোধ করছি।
 

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, এক বছরের একটি হত্যা মামলায় আসামি গ্রেপ্তার হয় না। আগামী ৭ দিনের মধ্যে আসামিদের গ্রেপ্তার না করা হলে আন্দোলন আরও কঠোরভাবে করার হুঁশিয়ারি দেন। এছাড়াও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলার উপক্রম হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয়রা।
 

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানান, বর্তমানে মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) রংপুরের তদন্তাধীন রয়েছে।
 

প্রসঙ্গত, গত বছরের ১৯ জুলাই ব্রহ্মপুত্র নদে পড়ে নিখোঁজ হওয়ার একদিন পর কলেজছাত্র জোবায়ের হোসেন আমিনের লাশ ভেসে ওঠে। বিকৃত লাশ উদ্ধারের পর পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যা মামলা করা হয়। এরপর ওই বছরের ২১ জুলাই চিলমারী মডেল থানায় মো. সাইনান স্বচ্ছ (২১) ও মো. ইউসুফ আহম্মেদ জায়েদের (২১) নামে ও আরও ছয়-সাত অজ্ঞাত আসামি করে মামলা নথিভুক্ত করা হয়।


সম্পাদকঃ সারোয়ার কবির     |     প্রকাশকঃ আমান উল্লাহ সরকার
যোগাযোগঃ স্যুইট # ০৬, লেভেল #০৯, ইস্টার্ন আরজু , শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণি, ৬১, বিজয়নগর, ঢাকা ১০০০, বাংলাদেশ।
মোবাইলঃ   +৮৮০ ১৭১১৩১৪১৫৬, টেলিফোনঃ   +৮৮০ ২২২৬৬৬৫৫৩৩
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫