মিরপুরে জামায়াতের বিক্ষোভে পুলিশের হামলা

প্রকাশকালঃ ২৮ জানুয়ারি ২০২৪ ০১:৩৮ অপরাহ্ণ ১৩৫ বার পঠিত
মিরপুরে জামায়াতের বিক্ষোভে পুলিশের হামলা

২৮শে জানুয়ারী, ২০২৪ তারিখে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তরের উদ্যোগে মিরপুরে একটি বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি মিরপুর-১ গোল চত্বর থেকে শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে টেকনিক্যাল মোড়ে এসে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

সমাবেশের বক্তারা সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তোলেন। তারা বলেন, অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকারকে মাত্র ৪ শতাংশ মানুষ ভোট দিয়েছে। তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করেছে দেশের ৯৬ ভাগ মানুষ। প্রহসন ও ডাসি নির্বাচনের কোনো কোনো প্রার্থী দাবি করেছেন, তারা ভারতের প্রার্থী। তাই এই সংসদ ও সরকার কোনোভাবেই জনগণের প্রতিনিধিত্ব করতে পারে না।

বক্তারা আরও বলেন, সরকার দেশ পরিচালনায় সার্বিকভাবে ব্যর্থ হয়েছে। সরকারি দলের লুটপাট ও অব্যবস্থাপনার কারণে দেশের বাজারমূল্য পরিস্থিতি সব শ্রেণির মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে। রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংকট এখন তীব্র আকার ধারণ করেছে। সরকার নিজেদের উপর্যুপরি ব্যর্থতা ঢাকার জন্যই আমিরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান, সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম আজহারুল ইসলাম ও মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান এবং ঢাকা মহানগর উত্তর আমির মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিনকে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে কারাগারে অন্তরীণ করে রেখেছে।

বক্তারা সরকারকে জুলুম-নির্যাতনের পথ পরিহার করে আমিরে জামায়াতসহ সব বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীকে অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানান। অন্যথায় সরকারকে গণরোষের মুখোমুখি হতে হবে।

মিছিলের সমাবেশে বক্তারা সরকারের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তুলেছেন, সেসব অভিযোগকে সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট বলে দাবি করেছে সরকার। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বিনা ভোটের সরকারকে জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে, এমন কোনো প্রমাণ নেই। বরং, সরকার জনগণের ম্যান্ডেট পেয়েই ক্ষমতায় রয়েছে।

সরকারের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, দেশ পরিচালনায় সরকার সার্বিকভাবে সফল। সরকারি দলের লুটপাট ও অব্যবস্থাপনার কারণে দেশের বাজারমূল্য পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার কোনো প্রমাণ নেই। গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংকটের জন্য সরকার দায়ী নয়, বরং এসব সংকট তৈরি হয়েছে আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির কারণে।

সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আমিরে জামায়াতসহ সব বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীকে আইনের আওতায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে। তাই তাদেরকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার কোনো প্রশ্নই উঠে না।

জামায়াতে ইসলামীর বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের ঘটনা বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ঘটনায় সরকারের জনপ্রিয়তা আরও হ্রাস পেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।