ঢাকা প্রেস
আবুল কালাম আজাদ ভূইয়া,কুমিল্লা প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লা-ব্রাক্ষণবাড়িয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের প্রশস্তকরণের প্রয়োজনে কেটে ফেলা হয়েছে অর্ধশত বছরের পুরানো বহু গাছ। এতে কুমিল্লা জেলা মুরাদনগর, দেবিদ্বার,ব্রাক্ষণপাড়া,বুড়িচং এবং ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলা কসবা ও আখাউড়া উপজেলা কিছু অংশের পরিবেশ ও জনজীবন বেশি বিপন্ন হবে বলে আশঙ্ক করেছেন পরিবেশ সংশ্লিষ্টরা।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ উদ্যোগে কুমিল্লা-ব্রাক্ষণবাড়িয়া আঞ্চলিক মহাসড়কটি প্রশস্তকরণের কাজ চলছে। ৭ হাজার ১৮৮ কোটি ব্যয়ে কুমিল্লা জেলা ময়নামতি থেকে ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলা আখাউড়া উপজেলা ধরখার পর্যন্ত করা হবে। এতে ৫৪ কিলোমিটার এই সড়কটি দুই লেন থেকে চার লেনে উন্নীত হবে। এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে ৪ হাজার ৩৭৮ কোটি টাকা এবং ভারতীয় ঋণ রয়েছে। ২হাজার ৮১০ কোটি টাকা। এই মহাসড়কের কুমিল্লা অংশে গাছ ছিলে প্রায় ৪হাজার ৮২৪টি। এর মধ্যে দুই হাজার গাছ ইতোমধ্যে কেটে ফেলা হয়েছে। রাস্তা প্রশস্তকরণের জন্য পর্যায়ক্রমে বাকিগুলোও কাটা হতে পারে।
দেবীদ্বার উপজেলা ইউসুফপুর আইডিয়াল উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক মোঃ আবু কাউছার আলম সরকার বলেন, সড়কের দুই পাশের বেশির ভাগ গাছই ছিল বিশাল আকৃতির। গাছ কাটছে এতে সমস্য নাই। দেশের উন্নায়নের স্বার্থে এই সব কাছ কর্তন করা হয়েছে। মহাসড়ক উন্নায়ন শেষে আবার গাছ রোপন বনায়ন কররেই গ্রীষ্মের তীব্র রোদে যাত্রী-পথচারী ছায়া দিবে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) কুমিল্লা অঞ্চলের সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর মাসুম বলেন, উন্নায়ন কাজের নামে প্রায়ই পুরানো গাছগুলো কেটে ফেলা হচ্ছে। এতে পরিবেশ মারাত্মক হুমকির মুখে পড়ছে। বর্তমান তীব্র তাপপ্রবাহ তারই উদাহরণ। তাই অবাধে গাছ নিধন বন্ধ করা সময়ের দাবি।
কুমিল্লা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা(জিএম) মোহাম্মদ কবির বলেন, সড়কের প্রশস্তকরণের জন্য কিছু গাছ কাটতে হয়েছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগ এটি নিলাম করেছে। বিকল্প কোনো উপায় না থাকায় বনবিভাগ থেকে এ বিষয়ে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। গাছ কাটার বিপরীতে নতুন করে সড়কের দু’পাশে বৃক্ষ রোপণ বা বনায়ন করা হবে কিনা তা জানা যায়নি।