ঢাকা প্রেস
বিনোদন প্রতিবেদক
"এমনও তো প্রেম হয়", "যে মাটির বুকে ঘুমিয়ে আছে", "চোখ বুঝিলে দুনিয়া আন্ধার" - এইসব অমর গানের স্রষ্টা, আজ তার জন্মদিন। ৮৫ বছরে পা দিয়েছেন এই কিংবদন্তি শিল্পী।
১৯৪০ সালের ১ জুলাই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার শাহপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।
জন্মদিন উপলক্ষে সৈয়দ আব্দুল হাদী বলেছেন, "আজ আরেকটি নতুন বসন্ত শুরু হলো। অনেক বসন্ত পেরিয়ে আজ ৮৫তে আমি। দেখতে দেখতে জীবনের শেষ প্রান্তে চলে এসেছি। জীবনকে যখন যেভাবে পেয়েছি সেভাবেই মূল্যায়ন করার চেষ্টা করেছি। এখনো তাই। সবার কাছে দোয়া ও ভালোবাসা চাই।"
বড় আয়োজনে জন্মদিন পালন করতে পছন্দ করেন না এই কিংবদন্তি শিল্পী। তিনি বলেছেন, "আমি কখনো বড় আয়োজনে নিজের জন্মদিন পালন করিনি। এটা আমার পছন্দও নয়। যা হয় তা ছোট পরিসরে, ঘরোয়া আয়োজন। এবারও তাই হচ্ছে।"
"আছেন আমার মোক্তার", "চলে যায় যদি কেউ বাঁধন ছিঁড়ে", "জন্ম থেকে জ্বলছি মাগো" - এই অজস্র জনপ্রিয় গানের শিল্পী সৈয়দ আব্দুল হাদী।
তার পিতা সৈয়দ আব্দুল হাই ছিলেন একজন সরকারি কর্মকর্তা এবং গান শুনতে ও গাইতে পছন্দ করতেন। বাবার গ্রামোফোনে গান শুনেই সঙ্গীতের প্রতি আগ্রহ জন্মে হাদীর।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের পর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। এরপর বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রযোজক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। লন্ডনের ওয়েল্স বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রিন্সিপাল লাইব্রেরিয়ান হিসেবেও কাজ করেছেন।
ছাত্রজীবন থেকেই সিনেমায় গান গাওয়া শুরু করেন সৈয়দ আব্দুল হাদী। পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে সঙ্গীত জগতে কর্মরত এই কিংবদন্তি শিল্পী। একক সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে প্রথম গান গান ১৯৬৪ সালের "ডাকবাবু" সিনেমায়।
তার বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে পাঁচবার শ্রেষ্ঠ গায়ক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। ২০০০ সালে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান একুশে পদক-এও ভূষিত হন।
আজকের এই বিশেষ দিনে আমরা এই মহান শিল্পীকে তার অসামান্য অবদানের জন্য জানাই অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা। তার দীর্ঘায়ু ও সুস্থতা কামনা করছি।