ঢাকা প্রেস
সাভার প্রতিনিধি:-
বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরীর মৃত্যু এবং মরদেহ উত্তোলনকে কেন্দ্র করে দেশে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি হয়েছে।
ঢাকার সাভারে অবস্থিত জামিয়া খাতামুন্নাবিয়্যীন মাদরাসার কবরস্থান থেকে বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরীর মরদেহ উত্তোলন করা হয়।
হারিছ চৌধুরীর মেয়ে ব্যারিস্টার সামিরা তানজিম চৌধুরীর করা একটি রিটের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট মরদেহ উত্তোলন ও ডিএনএ পরীক্ষার নির্দেশ দেন।
এই ঘটনাটি ঘটে ২০২৪ সালের ১৬ অক্টোবর সকালে।
মরদেহ উত্তোলনের সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
হারিছ চৌধুরীর মেয়ে সামিরা তানজিম চৌধুরী তার বাবার মৃত্যু নিয়ে সন্দেহ পোষণ করে হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করেন। হাইকোর্ট তার আবেদন মঞ্জুর করে মরদেহ উত্তোলন ও ডিএনএ পরীক্ষার নির্দেশ দেন।
নির্ধারিত সময়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে মরদেহ উত্তোলন করা হয়।
উত্তোলিত মরদেহ থেকে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরবর্তীতে এই নমুনার বিশ্লেষণ করে হারিছ চৌধুরীর পরিচয় নিশ্চিত করা হবে।
হারিছ চৌধুরীর মৃত্যু নিয়ে বিভিন্ন মহলে সন্দেহের উদ্ভব হয়েছিল। তার মেয়ে দাবি করেন যে, তার বাবার মৃত্যুর কারণ সঠিকভাবে জানা যায়নি। এই সন্দেহ দূর করার জন্যই তিনি আদালতে আবেদন করেছিলেন।
হারিছ চৌধুরীর পরিবার এই ঘটনায় স্বস্তি অনুভব করেছে। তারা আশা করছে যে, ডিএনএ পরীক্ষার ফলাফল তাদের বাবার মৃত্যুর সত্যতা প্রমাণ করবে।
এই ঘটনাটি রাজনৈতিকভাবেও ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। বিএনপি এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপন করেছে।
হারিছ চৌধুরীর মরদেহ উত্তোলনের ঘটনাটি দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক জীবনে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। এই ঘটনাটি মৃত্যু, পরিবার, সত্য এবং ন্যায় বিচারের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোকে সামনে এনেছে।