ঢাকা মহানগর উত্তরের জনপ্রিয় নেতা মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন

নিউজ ডেস্ক-ঢাকা প্রেস
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন বর্তমানে দলের অন্যতম জনপ্রিয় ও আলোচিত নেতা হিসেবে পরিচিত। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শিক্ষিত, সজ্জন ও সাধারণ মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য এই নেতা ৫ আগস্টের পর থেকে নৈতিকতার উদাহরণ স্থাপন করেছেন। তিনি শুধু নিজেকে অনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে দূরে রেখেই থেমে যাননি, বরং তার অনুসারী নেতাকর্মীদেরও অন্যায়-অবিচার থেকে বিরত রাখতে নেতৃত্ব দিয়েছেন। এজন্যই দলের উচ্চ পর্যায়ে “ক্লিন ইমেজের” নেতা হিসেবে প্রথম সারিতে উঠে এসেছে তার নাম।
মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন গত তিনটি মেয়াদে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। স্বভাবসুলভ দৃঢ়তা, স্পষ্টভাষী মনোভাব ও জনপ্রিয় বক্তা হিসেবে তিনি নিজেকে অনন্য উচ্চতায় প্রতিষ্ঠিত করেছেন। গত এক বছরে তিনি ব্যতিক্রমধর্মী বক্তৃতা শৈলীর মাধ্যমে শ্রোতাদের মন জয় করেছেন। স্থানীয়দের মতে, ধানের শীষ প্রতীকে তাকে প্রার্থী করা হলে বৃহত্তর উত্তরার রাজনৈতিক চিত্র আরও উজ্জ্বল হবে। বর্তমানে বিএনপির মূলধারার অনেক নেতার কাছেও তিনি একজন পরিচিত, নির্ভরযোগ্য ও গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিত্ব।
দক্ষিণখানের মোল্লা বাড়ির এই কৃতি সন্তান বৃহত্তর উত্তরার ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে জাতীয়তাবাদী রাজনীতির সূচনা করেন। পরবর্তীতে তিনি বিমানবন্দর থানা বিএনপির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। নগর বিএনপির কায়ুম–হাসান কমিটির সহসভাপতি, আমান–আমিনুল কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক এবং সর্বশেষ আমিনুল–মোস্তফা কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়কের দায়িত্বও তিনি দক্ষতার সঙ্গে পালন করছেন।
স্থানীয় নেতাদের মতে, আপাদমস্তক একজন নিবেদিতপ্রাণ রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে সেগুনের রয়েছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা। পাশাপাশি তিনি পেশায় একজন প্রথম শ্রেণির ঠিকাদার ও ব্যবসায়ী—যেখানে সততা ও সুনামের সঙ্গে নিজ অবস্থান ধরে রেখেছেন। তার নির্বাচনী রাজনীতির হাতেখড়ি ঘটে উত্তরার মডেল ওয়ার্ড খ্যাত ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মাধ্যমে। সর্বশেষ ফ্যাসিবাদী সরকারের আমলে সেই নির্বাচনে তিনি সর্বাধিক ভোটে জয়ী হলেও স্থানীয় আওয়ামী নেতৃত্ব ও নির্বাচন কমিশনের প্রভাবে তাকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়নি। তখন তার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে একাধিকবার তার ওপর হামলাও চালানো হয়।
স্থানীয়দের মতে, আসন্ন নির্বাচনে যদি ধানের শীষ প্রতীকে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পান মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, তবে তার নিজ এলাকা দক্ষিণখান, উত্তরখান ও উত্তরার জনবহুল অঞ্চলগুলোতে তিনি বিপুল সমর্থন অর্জন করতে পারবেন। মোল্লা বংশের সামাজিক প্রভাব এবং তার ক্লিন ইমেজ—উভয়ই তার নির্বাচনী প্রচারণাকে আরও শক্তিশালী করবে। স্থানীয়দের মতে, আজকের রাজনীতিতে ভালো চরিত্র, গ্রহণযোগ্যতা ও ব্যক্তিগত যোগ্যতাই বিজয়ের প্রধান শর্ত—আর সেগুলোর সবটিই বিদ্যমান এই নেতার মধ্যে।
দলীয় আনুগত্য, ত্যাগ ও আন্দোলনের রাজপথে অবিচল উপস্থিতির কারণে গত ১৮ বছরের রাজনৈতিক জীবনে মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন সত্যিকারের নিবেদিত নেতা হিসেবে।
মনোনয়ন প্রসঙ্গে মোস্তাফিজ সেগুন বলেন,
“আমি কোনো ব্যক্তিপূজার রাজনীতি করি না, আবার মাটির মানুষের কাছ থেকে স্লোগানও চাই না। শুধু বলতে চাই—ঢাকা-১৮ আসন থেকে নির্বাচন করতে চাই। আমার দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান যদি আমাকে তার প্রতিনিধি হিসেবে মনোনয়ন দেন এবং ধানের শীষের প্রতীক দেন, তাহলে এ আসনটি হবে ধানের শীষের সর্বোচ্চ ভোটের আসন। এর বাইরে বলার কিছু নেই।”
সম্পাদকঃ সারোয়ার কবির | প্রকাশকঃ আমান উল্লাহ সরকার
যোগাযোগঃ স্যুইট # ০৬, লেভেল #০৯, ইস্টার্ন আরজু , শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণি, ৬১, বিজয়নগর, ঢাকা ১০০০, বাংলাদেশ।
মোবাইলঃ +৮৮০ ১৭১১৩১৪১৫৬, টেলিফোনঃ +৮৮০ ২২২৬৬৬৫৫৩৩
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫