|
প্রিন্টের সময়কালঃ ০৫ আগu ২০২৫ ০৯:০৭ অপরাহ্ণ     |     প্রকাশকালঃ ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ ০৭:২২ অপরাহ্ণ

বিএভিএস রাজস্বকরন ও আর্থিক দূর্নীতির  বিরুদ্ধে মানববন্ধন।


বিএভিএস রাজস্বকরন ও আর্থিক দূর্নীতির  বিরুদ্ধে মানববন্ধন।


ঢাকা প্রেস
আরিফুজ্জামান (সাগর),বিশেষ প্রতিনিধি:-


 

বিএভিএস এর কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ মানবন্ধন এর মাধ্যমে সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের দৃষ্টি আকর্ষন করার লক্ষ্যে আজ ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ ইং রোজ বৃহস্পতিবার বিএভিএস প্রধান কার্যালয় এর সামনে একত্রিত হয়। বিএভিএস এর পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন ডাঃ এ এম আবদুল মালেক, আহ্বায়ক, বিএভিএস, আভ্যন্তরীণ সংস্কার কমিটি।

তিনি গণমাধ্যমকে জানান-
বাংলাদেশ এসোসিয়েশন ফর ভলান্টারী স্টেরিলাইজেশন (বিএভিএস) সরকারের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত পরিবার পরিকল্পনা এবং মা ও শিশু স্বাস্থ্য সেবা প্রদানকারী একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান।

জাতীয় টিএফআর হ্রাসের লক্ষ্যে বিএভিএস এর অবদান ও কৃতিত্বের কথা বিবেচনা করে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর হতে একাধিকবার রাজস্বখাতে অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাব করা হলেও প্রধান কার্যালয় হতে অদ্যাবধি কোন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। পরিপ্রেক্ষিতে, সরকার প্রশাসিত সেবামূলক প্রতিষ্ঠান বিএভিএস এর এতসব অর্জন ও বিভিন্ন স্বীকৃতি থাকা সত্ত্বেও প্রতিষ্ঠিত হওয়ার ৫১ বছর অতিবাহিত হলেও আর্থিকভাবে শক্তিশালী কোন ভিত্তি পায়নি। ফলশ্রুতিতে দেশব্যাপী বিএভিএস এর প্রায় পাঁচ শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী গত জুলাই ২০২৪ ইং হতে অদ্যাবধি বেতন-ভাতাদি না পেয়ে অত্যন্ত মানবেতর জীবন যাপন করছে।

স্বাস্থ্য সেবায় নিয়োজিত পাঁচ শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীর পরিবারের বাঁচার প্রয়াশে বিএভিএস প্রধান কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে প্রশাসক মহোদয়কে ০৪/০১/২০২৫ ইং তারিখে বিএভিএস কে রাজস্বখাতে স্থানান্তর, ছয় মাসের বেতন-ভাতাদি প্রদান এবং উপপরিচালক (অর্থ) বিএভিএস প্রধান কার্যালয়ের বিরুদ্ধে। আর্থিক দূর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, সংস্থার স্বার্থ পরিপন্থী কাজ করার অভিযোগ সম্বলিত একটি স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয় এবং প্রধান কার্যালয়ে শান্তিপূর্ণ অবস্থান করে।

তারা দাবি করেন প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় আর্থিক স্বচ্ছতা, জবাবদিহীতা নিশ্চিত করনের পাশাপাশি বিএভিএস সার্ভিস রুল এর অর্গানোগ্রাম অনুযায়ী প্রয়োজনীয় দক্ষ জনবল নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে এবং বৈষম্যহীন, সুশৃঙ্খল ও গতিশীল প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে হবে।

সাময়িকভাবে বরখাস্তকৃত উপপরিচালক (অর্থ) মোঃ নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে আর্থিক দূর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, সেচ্ছাচারিতা ও সংস্থার স্বার্থ পরিপন্থী কাজ করার জন্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

সদ্য সাবেক প্রশাসক জনাব আব্দুল ওয়াদুদ, উপ সচিব (স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়) এর আর্থিক দূর্নীতি ও অসদচারনের জন্য শাস্তি দাবি করেন।

অপ্রয়োজনীয় ও অবৈধ সকল চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করতে হবে।
পরিশেষে বিএভিএস এর অর্থায়ন রাজস্ব খাতে স্থানান্তর, বিএভিএসকে বৈষম্যহীন, জবাবদিহীমূলক ও সুশৃঙ্খল একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার পাশাপাশি দূর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জন্য সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

নিয়োগ, বদলী ও পদোন্নতির ক্ষেত্রে উপ পরিচালক (অর্থ) এর বিরুদ্ধে আর্থিক লেনদেন এর সুস্পষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

উপপরিচালক (অর্থ) নজরুল ইসলামকে বরখাস্ত পত্র ও নথিতে স্বাক্ষর করেন। কিন্তু দেখা যায় যে, অফিস কার্যক্রমে নিয়মিত যে স্বাক্ষর করেন তার সাথে বরখাস্ত পত্রে ও নথিতে স্বাক্ষরের কোন মিল নেই। এতে প্রতীয়মান হয় যে, তিনি ইচ্ছাকৃতভাবেই বরখাস্তকৃত পত্রে ও নথীতে অন্য রকম স্বাক্ষর করেছেন যা ফৌজদারী অপরাধ বলে বিবেচিত।

এছারাও অত্র প্রতিষ্ঠানে কর্মরত বিভিন্ন কর্মকর্তা এবং কর্মচারী তাদের নির্যাতনের কথা তুলে ধরেন।

 


সম্পাদকঃ সারোয়ার কবির     |     প্রকাশকঃ আমান উল্লাহ সরকার
যোগাযোগঃ স্যুইট # ০৬, লেভেল #০৯, ইস্টার্ন আরজু , শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণি, ৬১, বিজয়নগর, ঢাকা ১০০০, বাংলাদেশ।
মোবাইলঃ   +৮৮০ ১৭১১৩১৪১৫৬, টেলিফোনঃ   +৮৮০ ২২২৬৬৬৫৫৩৩
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫