ভারত থেকে শুল্কমুক্ত সুবিধায় ৩৫ হাজার টন চাল আমদানি

ঢাকা প্রেস নিউজ
দীর্ঘ দুই বছর পর আবারও সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে শুল্কমুক্ত সুবিধায় ভারত থেকে চাল আমদানি শুরু হয়েছে। ১৩ নভেম্বর থেকে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত, ২৯ দিনে ৯৬৯টি ট্রাকে মোট ৩৫ হাজার ৪৩ টন চাল দেশে এসেছে। এসব চালের আমদানি মূল্য প্রায় ৩২ কোটি টাকা।
আমদানি করা চালের মধ্যে রয়েছে চিকন বাসমতি, মিনিকেট, মোটা স্বর্ণা এবং জামাইবাবু জাতের চাল। আমদানিকারকরা মনে করছেন, চাল আমদানির এই ধারা অব্যাহত থাকলে দেশের বাজারে চালের দাম কমবে। তবে ব্যবসায়ীদের মতে, এখনো সাতক্ষীরার স্থানীয় বাজারগুলোতে এর উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়েনি।
ভোমরা স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. শফিউল বসর জানিয়েছেন, ১৩ নভেম্বর থেকে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৯৬৯টি ট্রাকে ৩৫ হাজার ৪৩ টন চাল আমদানি করা হয়েছে। যেহেতু চালের ওপর শুল্কমুক্ত সুবিধা দেওয়া হয়েছে, তাই কোনো রাজস্ব আদায় হয়নি।
উত্তরবঙ্গের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স সোনালী এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী কামাল হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন পর ভারত চাল রপ্তানি শুরু করার পর থেকেই তারা ভোমরা বন্দরের মাধ্যমে চাল আমদানি করছেন। তবে সাম্প্রতিক সময়ে চাল আমদানি শুরু হলেও এর প্রভাব এখনও দেশীয় বাজারে তেমনভাবে পড়েনি।
সাতক্ষীরা জেলার সুলতানপুর বড় বাজারের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, চিকন বাসমতি চাল প্রতি কেজি ৭৮ টাকায়, চিকন আটাশ চাল ৫৮-৫৯ টাকায় এবং মোটা চাল ৪৮-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আমদানিকৃত মোটা স্বর্ণা ও জামাইবাবু চালের দাম প্রতি কেজি ৫০ টাকা। তবে ভারত থেকে চাল আমদানির ফলে দেশীয় বাজারে এখনও কোনো ইতিবাচক প্রভাব লক্ষ্য করা যায়নি।
সাতক্ষীরা জেলার কৃষি বিপণন কর্মকর্তা সালেহ্ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ জানান, সাতক্ষীরার চালের বাজার বর্তমানে স্থিতিশীল রয়েছে। তবে ভারত থেকে চাল আমদানি অব্যাহত থাকলে শিগগিরই বাজারে চালের দাম কমার সম্ভাবনা রয়েছে।
সম্পাদকঃ সারোয়ার কবির | প্রকাশকঃ আমান উল্লাহ সরকার
যোগাযোগঃ স্যুইট # ০৬, লেভেল #০৯, ইস্টার্ন আরজু , শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণি, ৬১, বিজয়নগর, ঢাকা ১০০০, বাংলাদেশ।
মোবাইলঃ +৮৮০ ১৭১১৩১৪১৫৬, টেলিফোনঃ +৮৮০ ২২২৬৬৬৫৫৩৩
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫