আনিসুল হক ও সালমান এফ রহমানের পলাতকের চেষ্টা: একটি বিশ্লেষণ

ঢাকা প্রেস নিউজ,বার্তা কক্ষ:-
এই প্রতিবেদনটি সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের দেশত্যাগের ব্যর্থ চেষ্টার বিবরণ দেয়। জনরোষের মুখে দেশত্যাগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে তারা গ্রেপ্তার হন। প্রতিবেদনে তাদের পলাতকের পুরো ঘটনা, গ্রেপ্তার এবং পরবর্তী আদালতের সিদ্ধান্তের বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হয়েছে...........
শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে জনরোষের সময়, আওয়ামী লীগের অনেক নেতাই দেশত্যাগের চেষ্টা করেছিলেন। এই পরিস্থিতিতে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানও দেশ ছাড়ার চেষ্টা করেন। তারা নৌপথে মিয়ানমার বা ভারতে পালানোর পরিকল্পনা করেন।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, সালমান এফ রহমান প্রথমে উত্তরার নিজের জুট মিলে আশ্রয় নেন এবং ছদ্মবেশ ধারণ করেন। পরে একজন অবসরপ্রাপ্ত নৌবাহিনী কর্মকর্তার সাহায্যে একটি ইঞ্জিনচালিত ট্রলার ভাড়া করে ভোলার দিকে রওনা হন। আনিসুল হককে সঙ্গে নিয়ে তারা বঙ্গোপসাগরে সাত দিন ভাসতে থাকেন। মিয়ানমার বা ভারতে পৌঁছাতে না পারায় তারা ফিরে আসেন এবং শেষ পর্যন্ত গ্রেপ্তার হন।
গ্রেপ্তারের সময় কোস্টগার্ডের সদস্যরা প্রথমে সালমানকে চিনতে পারেননি কারণ তিনি ছদ্মবেশ ধারণ করেছিলেন। পরে আনিসুল হকের স্বীকারোক্তিতে সালমানের পরিচয় উন্মোচিত হয়।
উল্লেখ্য, নিউমার্কেটে একজন দোকান কর্মচারীকে হত্যার অভিযোগে সালমান এবং আনিসুলের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে এবং আদালত তাদের দশ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে।
এই ঘটনাটি রাজনৈতিক অস্থিরতার সময় নেতৃবৃন্দের পলাতকের চেষ্টার একটি উদাহরণ। এটি দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উপর প্রভাব ফেলতে পারে এবং জনগণের মধ্যে আস্থা হারাতে পারে।
আনিসুল হক ও সালমান এফ রহমানের পলাতকের চেষ্টা এবং গ্রেপ্তারের এই ঘটনাটি বাংলাদেশের রাজনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। এই ঘটনাটি দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং জনগণের আস্থার উপর প্রভাব ফেলতে পারে।
সম্পাদকঃ সারোয়ার কবির | প্রকাশকঃ আমান উল্লাহ সরকার
যোগাযোগঃ স্যুইট # ০৬, লেভেল #০৯, ইস্টার্ন আরজু , শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণি, ৬১, বিজয়নগর, ঢাকা ১০০০, বাংলাদেশ।
মোবাইলঃ +৮৮০ ১৭১১৩১৪১৫৬, টেলিফোনঃ +৮৮০ ২২২৬৬৬৫৫৩৩
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫