|
প্রিন্টের সময়কালঃ ৩১ জানুয়ারি ২০২৫ ০৪:২৩ পূর্বাহ্ণ     |     প্রকাশকালঃ ২৬ জানুয়ারি ২০২৫ ০১:০৮ অপরাহ্ণ

চিত্রনায়িকা পরীমণির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি


চিত্রনায়িকা পরীমণির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি


ঢাকা প্রেস,বিনোদন ডেস্ক:-

 

ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদের দায়ের করা মারধর, ভাঙচুর এবং ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগের মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমণির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেছে আদালত। এর মধ্য দিয়ে মামলাটির আনুষ্ঠানিক বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
 

আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় রোববার (২৬ জানুয়ারি) ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত পরীমণির সময় আবেদনের আবেদন নামঞ্জুর করে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এ তথ্য আসামিপক্ষের আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভি নিশ্চিত করেছেন।
 

গত বছরের এপ্রিলে ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এম সাইফুল ইসলামের আদালতে পরীমণির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আবেদন করেন বাদীপক্ষের আইনজীবী আবুল কালাম মোহাম্মদ সোহেল। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই ঢাকার পরিদর্শক মো. মনির হোসেন তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন, যেখানে পরীমণি ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়।
 

২০২১ সালের ৬ জুলাই ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পরীমণি ও তার দুই সহযোগী ফাতেমা তুজ জান্নাত বনি এবং জুনায়েদ বোগদাদী জিমির বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়, পরীমণি ও তার সহযোগীরা অ্যালকোহল সেবনে অভ্যস্ত এবং বিভিন্ন ক্লাবে গিয়ে বিল না দিয়ে অ্যালকোহল পান করেন।
 

মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ২০২১ সালের ৯ জুন রাতে সাভারের বোট ক্লাবে পরীমণি ও তার সহযোগীরা প্রবেশ করেন এবং সেখানে অ্যালকোহল সেবন করেন। পরে পরীমণি নাসির উদ্দিন মাহমুদকে বসতে অনুরোধ করেন এবং বিনামূল্যে একটি ব্লু লেবেল অ্যালকোহলের বোতল পার্সেল করার জন্য চাপ দেন। নাসির রাজি না হওয়ায় পরীমণি তাকে গালমন্দ করেন এবং এক পর্যায়ে সারভিং গ্লাস ও মোবাইল ফোন ছুড়ে মারেন, যার ফলে নাসির আহত হন।
 

মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, পরীমণি ও তার সহযোগীরা নাসিরকে মারধর, হত্যার হুমকি এবং ক্লাবে ভাঙচুর করেছেন। পরে পরীমণি সাভার থানায় নাসিরসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে পাল্টা মামলা করেন।
 

২০২১ সালের ১৪ জুন পরীমণি ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন, যেখানে বোট ক্লাবের তৎকালীন সভাপতি নাসির উদ্দিন মাহমুদসহ ৬ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। তবে তদন্তে পুলিশ ধর্ষণ বা হত্যাচেষ্টার কোনো প্রমাণ পায়নি।


সম্পাদকঃ সারোয়ার কবির     |     প্রকাশকঃ আমান উল্লাহ সরকার
যোগাযোগঃ স্যুইট # ০৬, লেভেল #০৯, ইস্টার্ন আরজু , শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণি, ৬১, বিজয়নগর, ঢাকা ১০০০, বাংলাদেশ।
মোবাইলঃ   +৮৮০ ১৭১১৩১৪১৫৬, টেলিফোনঃ   +৮৮০ ২২২৬৬৬৫৫৩৩
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫