জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে কমাতে হবে

প্রকাশকালঃ ১৮ জুন ২০২৩ ০৬:০২ অপরাহ্ণ ২০১ বার পঠিত
জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে কমাতে হবে

জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানোর ফলে বায়ুতে বিষাক্ত গ্যাস নির্গত হচ্ছে। এটি বায়ুর গুণগত মান নষ্ট করছে। তাই বায়ু নির্মল রাখতে হলে কয়লা ও জ্বালানি তেলের মতো জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর থেকে নির্ভরশীলতা কমাতে হবে। সৌর ও বায়ুবিদ্যুতের মতো নবায়ণযোগ্য জ্বালানি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়াতে হবে। বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানির অপার সম্ভাবনা রয়েছে কিন্তু কিছু চ্যালেঞ্জও রয়েছে। সেগুলো মোকাবিলা করে এগোতে হবে।

আজ শনিবার রাজধানীর প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের সেমিনারকক্ষে ‘নির্মল বায়ু এবং জ্বালানি নিরাপত্তায় নবায়নযোগ্য শক্তির প্রসার’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এসব কথা বলেন। গবেষণা সংস্থা বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস) এবং ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের আরবান প্রোগ্রাম যৌথভাকে এ আয়োজন করে।

ক্যাপসের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদারের সভাপতিত্বে বৈঠকে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের সমন্বয়ক শরীফ জামিল এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) পরিচালক (প্রশাসন) মো. জাকির হোসেন।


গোলটেবিল বৈঠকে মূল বক্তব্য দেন ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির জ্বালানি গবেষণা কেন্দ্রের (সিইআর) পরিচালক শাহরিয়ার আহমেদ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যে মোট জ্বালানির ৪০ শতাংশ নবায়নযোগ্য উৎস থেকে উৎপাদন করতে পারবে। এ জন্য আমাদের এই খাতে গবেষণা বাড়াতে হবে।’

বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার বায়ুদূষণের ভয়াবহতা উল্লেখ করে বলেন, নির্মল বায়ু মানুষের অধিকার কিন্তু ঢাকা শহরের অধিবাসীরা এ অধিকার থেকে বঞ্চিত। জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানোর ফলে বায়ুতে বিষাক্ত গ্যাস নির্গত হচ্ছে, যা বায়ুর গুণগত মান নষ্ট করছে। তাই জীবাশ্ম জ্বালানি বন্ধ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিশ্চিত করা গেলে সবার জন্য নির্মল বায়ু ও জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।


প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের সমন্বয়ক শরীফ জামিল বলেন, ‘জ্বালানি একটি কৌশলগত পণ্য। টেকসই নবায়নযোগ্য জ্বালানির অভাবে এবং জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতার ফলে বর্তমানে জ্বালানি নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে। এ ক্ষেত্রে নবায়নযোগ্য জ্বালানির বিকল্প নেই। অন্যদিকে আমাদের মনে রাখতে হবে, জ্বালানি নিরাপত্তা দিতে গিয়ে যেন পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।’

ন্যাশনাল ওশানোগ্রাফিক অ্যান্ড মেরিটাইম ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক মোহন কুমার দাস বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন দূষণপ্রবণ দেশ। আমাদের একটা দায়িত্বহীনতার সংস্কৃতি আছে, যেগুলো থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। ব্যক্তিপর্যায়ে কিছু কাজ করা সম্ভব হলেও রাষ্ট্রীয় পর্যায় থেকে এর সঠিক ব্যবস্থাপনা দরকার।’

বাংলাদেশ প্রাণিবিজ্ঞান সমিতির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক গুলশান আরা লতিফা গোলটেবিল বৈঠকটির আয়োজকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে আয়োজনের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।