বুধবার (২৩ জুলাই) বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ১৩টি রাজনৈতিক দল ও জোটের নেতাদের সঙ্গে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে এসব কথা বলেন তিনি। দেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আমাদের মূল লক্ষ্য ছিল, অভ্যুত্থানের এক বছরপূর্তি উপলক্ষে সকল রাজনৈতিক দলকে একত্র করে অতীতকে স্মরণ করা এবং ঐক্যের বার্তা দেওয়া। কিন্তু দুঃখজনকভাবে এর মধ্যেই ষড়যন্ত্রকারী পরাজিত শক্তির কার্যকলাপ স্পষ্ট হয়ে উঠছে, যা আমাদের জন্য অশনিসংকেত।”
তিনি আরও বলেন, “যদি রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্য প্রদর্শনে গাফিলতি করে, তাহলে ষড়যন্ত্রকারীরা সেটিকে সুযোগ হিসেবে নেবে।”
বৈঠকে উপস্থিত রাজনৈতিক নেতারা প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের প্রতি সমর্থন জানিয়ে ফ্যাসিবাদ বিরোধী রাজনৈতিক ও গণঐক্য অটুট রাখার অঙ্গীকার করেন। তাঁরা দেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান এবং সংস্কার, বিচার ও সুষ্ঠু নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করেন।
নেতৃবৃন্দ নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক সংলাপ ও সর্বদলীয় সভা আরও নিয়মিত আয়োজনের অনুরোধও জানান।
বৈঠকে অংশগ্রহণকারী নেতারা হলেন—
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সৈয়দ হাসিবউদ্দিন হোসেন
গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকি
এবি পার্টির মজিবুর রহমান মন্জু
নাগরিক ঐক্যের শহীদুল্লাহ কায়সার
গণঅধিকার পরিষদের নুরুল হক নুর
এলডিপির রেদোয়ান আহমেদ
খেলাফত মজলিসের ড. আহমদ আবদুল কাদের
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক
জেএসডির তানিয়া রব
১২ দলীয় জোটের শাহাদাত হোসেন সেলিম
বাসদের বজলুর রশীদ ফিরোজ
সিপিবির রুহিন হোসেন প্রিন্স
গণফোরামের ডা. মিজানুর রহমান।
এর আগে, মঙ্গলবার (২২ জুলাই) রাতে প্রধান উপদেষ্টা বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি ও ইসলামী আন্দোলনের নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করেন।