সাহায্যপ্রার্থীকে সামর্থ্য থাকলে সাধ্যমতো সাহায্য করবে, সামর্থ্য না থাকলে সুন্দরভাবে অপারগতা প্রকাশ করবে। কিন্তু কিছুতেই তাকে হেয় প্রতিপন্ন করবে না, ধমক দেবে না এবং তিরস্কার করবে না। ইসলামের দৃষ্টিতে এটি সাহায্যপ্রার্থীর অধিকার। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘সুতরাং তুমি এতিমের প্রতি কঠোর হয়ো না। এবং সাহায্যপ্রার্থীকে ভর্ত্সনা কোরো না।’ (সুরা : দুহা, আয়াত : ৯-১০)
যেখানেই তার সাহায্য-সহযোগিতা পাওয়ার দরকার, সেখানেই তাকে সাহায্য করা এবং তাকে হেয় প্রতিপন্ন না করা ইসলামের শিক্ষা। কেননা রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, তুমি তোমার ভাইকে সাহায্য করো, চাই সে জালিম হোক অথবা মাজলুম; এ কথা বলার পর এক ব্যক্তি বলল, হে আল্লাহর রাসুল! সে যদি মাজলুম হয়, আমি তাকে সাহায্য করব—এটা বুঝতে পারলাম।
সে জালিম হলে আমি তাকে কিভাবে সাহায্য করব—সে ব্যাপারে আপনার অভিমত কী? তখন তিনি বলেন, তাকে জুলুম করা থেকে বিরত রাখো, বাধা দাও; এটাই হলো তাকে সাহায্য করা। (বুখারি, হাদিস : ৬৫৫২; মুসলিম, হাদিস : ৬৭৪৭)
কোনো মুসলমান গরিব হলেও তাকে তুচ্ছ জ্ঞান করা যাবে না। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, এক মুসলিম অন্য মুসলিমের ভাই; সে তার প্রতি জুলুম করবে না, তাকে অপমান করবে না এবং তাকে তুচ্ছ জ্ঞান করবে না। (বুখারি, হাদিস : ৬৫৫১)
কিছুতেই মুসলমানের সম্মানহানি করা যাবে না। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যেকোনো মুসলিম ব্যক্তি অন্য কোনো মুসলিমকে সাহায্য করবে এমন কোনো স্থানে, যেখানে তার চরিত্রকে কলুষিত করা হয় এবং তার সম্মানকে নষ্ট করা হয়, আল্লাহ তাআলা তাকে এমন স্থানে সাহায্য করবেন, যেখানে সে তাঁর সাহায্য পাওয়াটাকে পছন্দ করবে।
আর যেকোনো মুসলিম ব্যক্তি অন্য কোনো মুসলিমকে অপমান করবে এমন কোনো স্থানে, যেখানে তার সম্মানকে নষ্ট করা হয়, আল্লাহ তাআলা তাকে এমন স্থানে অপমানিত করবেন, যেখানে সে তাঁর সাহায্য পাওয়াটাকে কামনা করবে। (মুসনাদ আহমাদ)
মুসলমানের সম্মানহানি রোধ করার বিনিময়ে জান্নাত মিলবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি তার ভাইয়ের মান-সম্মান নষ্ট করা থেকে নিজে বিরত থাকবে বা কাউকে বিরত রাখবে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাকে জাহান্নামে দেওয়া থেকে বিরত থাকবেন। (তিরমিজি, হাদিস : ১৯৩১)