ঢাকা প্রেস নিউজ
ফেসবুকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে বেকার যুবকদের ফাঁদে ফেলে চাঁদাবাজির ঘটনা সামনে এসেছে। এই ঘটনায় জড়িত সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গত ৯ অক্টোবর থেকে ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে রাজধানীর খিলগাঁও এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন নাসির উদ্দিন ওরফে পিটার নাসির, আনোয়ার ওরফে তন্ময় ওরফে আকতারুজ্জামান, রোকসানা রহমান ওরফে রোকসানা, সীমা ওরফে রোকসানা আক্তার, জেসমিন ওরফে জেসমিন বেগম, মোছা. লিজা এবং শাহানাজ আক্তার।
ঢাকার নবাবগঞ্জের বাসিন্দা নাসির উদ্দিন ফেসবুকে নিরাপত্তাকর্মীর চাকরির বিজ্ঞাপন দেখে আগ্রহী হন। ৬ অক্টোবর তিনি বিজ্ঞাপনে উল্লেখিত নম্বরে যোগাযোগ করেন। পরে সীমা ওরফে রোকসানা আক্তারের সাথে তার হোয়াটসঅ্যাপে কথা হয়।
সীমার নির্দেশে নাসির খিলগাঁও এলাকার একটি বাসায় যান। সেখানে পৌঁছাতেই তার উপর হামলা চালানো হয়। তারা নাসিরকে মারধর করে, বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করে এবং ভিডিওটি ভাইরাল করার হুমকি দেয়।
পরে তারা নাসিরের মায়ের কাছ থেকে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। নাসিরের মা তাদের দেওয়া বিকাশ নম্বরে ৫ হাজার টাকা পাঠান। এরপর তারা নাসিরের কাছ থেকে দুটি স্বর্ণের আংটি, একটি মোবাইল ফোন এবং নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়। শেষ পর্যন্ত তারা নাসিরকে চোখ বেঁধে মোটরসাইকেলে করে খিলগাঁও ফ্লাইওভারে ফেলে রেখে যায়।
পুলিশের তদন্তে জানা গেছে, এই চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে ফেসবুকে চাকরির বিজ্ঞাপন দিয়ে, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে মানুষকে ফাঁদে ফেলত। একবার কেউ তাদের ফাঁদে পড়লে, তারা তাকে জিম্মি করে অর্থ ও মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নিত।
গ্রেপ্তার ব্যক্তির বিরুদ্ধে আগেও অভিযোগ রয়েছে
গ্রেপ্তার ব্যক্তি নাসির উদ্দিন ওরফে পিটার নাসিরের বিরুদ্ধে হত্যা, চাঁদাবাজি সহ আরও আটটি মামলা রয়েছে।
পুলিশ সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে। ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অচেনা ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ করা থেকে বিরত থাকতে বলেছে। কোনো অস্বাভাবিক ঘটনা লক্ষ্য করলে তাড়াতাড়ি পুলিশে খবর দেওয়ার জন্য বলেছে।