|
প্রিন্টের সময়কালঃ ২০ এপ্রিল ২০২৫ ০৯:৩৯ অপরাহ্ণ     |     প্রকাশকালঃ ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৪:৩৬ অপরাহ্ণ

দ্রোহ থেমে গেল, থেমে গেলেন কবি হেলাল হাফিজ।


দ্রোহ থেমে গেল, থেমে গেলেন কবি হেলাল হাফিজ।


ঢাকা প্রেস
সোহাগ আহম্মেদ,বিশেষ প্রতিনিধি:-


 

স্বাধীনতা-পরবর্তী বাংলাদেশের সাহিত্যাঙ্গনে যে কজন কবি তাদের কবিতার মাধ্যমে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছিলেন, কবি হেলাল হাফিজ তাদের অন্যতম। তার অমর কবিতার লাইন— "এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়, এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়"— দ্রোহের উত্তাপ ছড়িয়ে সবাইকে জাগিয়ে তোলার আহ্বান জানালেও, তিনি নিজে আজ চিরতরে নীরব হয়ে গেলেন (৭ অক্টোবর ১৯৪৮ — ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪)।
 

বিংশ শতাব্দীর শেষ দিকে তিনি বিশেষ জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। তার প্রথম কবিতার সংকলন যে জলে আগুন জ্বলে ১৯৮৬ সালে প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে ৩৩টিরও বেশি সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছে। দীর্ঘ ২৬ বছর পর, ২০১২ সালে প্রকাশিত হয় তার দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ কবিতা একাত্তর। অল্প সংখ্যক কবিতা লিখলেও তিনি দেশপ্রেম, জাতীয়তাবোধ, প্রতিবাদ, প্রেম ও দ্রোহের সম্মিলনে এক নতুন কাব্যভাষা সৃষ্টি করেন, যা পাঠকের হৃদয়ে গভীর ছাপ ফেলে। তার অন্যতম জনপ্রিয় কবিতা ‘নিষিদ্ধ সম্পাদকীয়’, যার সেই বিখ্যাত লাইন—"এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়, এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়"— এখনো দেশের কবিতা-প্রেমী এবং সাধারণ মানুষের মুখে মুখে উচ্চারিত হয়।
 

সাহিত্যিক জীবনের পাশাপাশি তিনি সাংবাদিকতা ও সাহিত্য সম্পাদনার সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন, সর্বশেষ দৈনিক যুগান্তরে কাজ করেছেন। ২০১৩ সালে তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার অর্জন করেন।
 

তার প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থগুলো হলো:

  • যে জলে আগুন জ্বলে (১৯৮৬)
  • কবিতা একাত্তর (বাংলা ও ইংরেজি, একুশে বইমেলা, ২০১২)
  • বেদনাকে বলেছি কেঁদোনা (২০১৯)
     

হেলাল হাফিজের সাহিত্যকীর্তি সীমিত হলেও, তার লেখা বাংলাদেশের সাহিত্যজগতে এক অনন্য অবদান হিসেবে বিবেচিত। তার কবিতায় যেন এক সিন্ধুর মাঝে বিন্দুর উচ্ছ্বাসের মতো অমরত্বের ছোঁয়া।


সম্পাদকঃ সারোয়ার কবির     |     প্রকাশকঃ আমান উল্লাহ সরকার
যোগাযোগঃ স্যুইট # ০৬, লেভেল #০৯, ইস্টার্ন আরজু , শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণি, ৬১, বিজয়নগর, ঢাকা ১০০০, বাংলাদেশ।
মোবাইলঃ   +৮৮০ ১৭১১৩১৪১৫৬, টেলিফোনঃ   +৮৮০ ২২২৬৬৬৫৫৩৩
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫