সরকারি চাকরিতে প্রবেশে কোটাপ্রথা বাতিলের দাবিতে পুলিশের দেয়া ব্যারিকেড ভেঙে রাজধানী শাহবাগ থেকে ইন্টারকন্টিনেন্টাল পর্যন্ত অবস্থান নিয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। ফলে শাহবাগসহ রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বেলা সাড়ে ৩টা থেকে বৃষ্টির মধ্যেই ফের কর্মসূচি শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে মিছিল নিয়ে শাহবাগে অবস্থান নিতে থাকেন তারা। শুরুতে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ হয়। আর আন্দোলন শুরুর পর ‘পুলিশ দিয়ে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না’, ‘ভয় দেখিয়ে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না’, ‘হামলা করে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না’-সহ বিভিন্ন স্লোগান দেয় শিক্ষার্থীরা।
এর আগে গত ১ জুলাই থেকে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে কোটাপ্রথা বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। এরই মধ্যে রোববার থেকে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি শুরু করা হয়। রোববার ও সোমবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্নস্থানে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক-মহাসড়কে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। ফলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
গত ৯ জুলাই আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা গণসংযোগ কর্মসূচি পালন করে এবং পরদিন বুধবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করেন। অবরোধের কারণে রাজধানীর সঙ্গে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। ফলে ভোগান্তি পোহাতে হয় নগরবাসীর।
২০১৮ সালে কোটা সংস্কার আন্দোলনের দাবিতে ৯ম থেকে ১৩তম গ্রেডের সব কোটা বাতিল করে সরকার। এবার সব গ্রেডে কোটা সংস্কারের দাবি করছেন আন্দোলনকারীরা