|
প্রিন্টের সময়কালঃ ১৮ নভেম্বর ২০২৫ ০৪:৫৩ অপরাহ্ণ     |     প্রকাশকালঃ ১৮ নভেম্বর ২০২৫ ০১:৪৯ অপরাহ্ণ

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে জ্বালানি চুক্তি ভারতের


যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে জ্বালানি চুক্তি ভারতের


রাশিয়া থেকে তেল না কিনতে যুক্তরাষ্ট্রের চাপের মধ্যে ভারতের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ জ্বালানি চুক্তি হয়েছে। এই চুক্তির আওতায় ভারতের মোট এলপিজি চাহিদার প্রায় ১০ শতাংশ সরবরাহ করবে যুক্তরাষ্ট্র। চুক্তি কবে স্বাক্ষরিত হয়েছে, তা ভারত স্পষ্ট করেনি। তবে সোমবার সকালে সামাজিক মাধ্যম এক্সে ভারতের পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাসমন্ত্রী হারদ্বীপ সিং পুরি জানান, যুক্তরাষ্ট্রের উপসাগরীয় অঞ্চল থেকে বছরে ২২ লাখ টন এলপিজি আমদানির জন্য এক বছর মেয়াদি এই চুক্তি করা হয়েছে। এটি ভারতীয় বাজারের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে প্রথম এলপিজি চুক্তি।
 

পুরি বলেন, “ভারতের জনগণ যাতে নিরাপদ ও সাশ্রয়ী মূল্যে এলপিজি পায় তা নিশ্চিত করতে আমরা বিভিন্ন উৎস থেকে জ্বালানি সংগ্রহের পথ খুলছি। এই চুক্তির মাধ্যমে বিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল অন্যতম বৃহৎ এলপিজি বাজার যুক্তরাষ্ট্রের জন্য উন্মুক্ত হলো।”
 

এর আগে, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে রাশিয়া থেকে কম দামে তেল কিনা নিয়ে ভারতের এবং যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক তলানিতে গিয়েছিল। এক পর্যায়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতীয় পণ্যে ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন। যদিও পরে ট্রাম্প দাবি করেন, সম্ভাব্য বাণিজ্য চুক্তির অংশ হিসেবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাশিয়ার তেল আমদানির পরিমাণ কমাতে সম্মত হয়েছেন। তবে নয়াদিল্লি এ বিষয়ে এখনো কোনো নিশ্চিতি দেয়নি।
 

গত অক্টোবরে ভারতীয় রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান এইচপিসিএল-মিত্তাল এনার্জি জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কারণে তারা রুশ তেল ক্রয় বন্ধ করেছে। এছাড়া ব্যক্তি খাতের বড় রুশ তেল আমদানিকারক রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ বলেছে, তারা যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞার প্রভাব মূল্যায়ন করছে।
 

অর্থনীতিতে প্রভাব: বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি ভারত গত জুন প্রান্তিকে পাঁচ ত্রৈমাসিকের মধ্যে সবচেয়ে দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের অতিরিক্ত শুল্ক এখনও ভারতের অর্থনীতির উপর চাপ সৃষ্টি করছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, শুল্ক দ্রুত কমানো না হলে চলতি অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬০–৮০ বেসিস পয়েন্ট পর্যন্ত কমে যেতে পারে।
 

শুল্ক প্রত্যাহার: ট্রাম্প ভারতের কয়েকটি মসলা, চা, আম, কাজু ও অন্যান্য বাদামের ওপর থেকে শুল্ক প্রত্যাহার করেছেন। গোলমরিচ, লবঙ্গ, জিরা, এলাচ, হলুদ, আদা এবং আসাম ও দার্জিলিং চা এতে অন্তর্ভুক্ত। তবে বাসমতি চাল, চিংড়ি, সামুদ্রিক মাছ, রত্ন, অলংকার এবং তৈরি পোশাকের ওপর শুল্ক বজায় আছে।
 

এ ধরনের অতিরিক্ত শুল্কের ফলে মার্কিন বাজারে অন্যান্য দেশের পণ্যের উপস্থিতি কমে যায়, যার ফলে খাদ্য ও কৃষিজ পণ্যের দাম বাড়ে।


সম্পাদকঃ সারোয়ার কবির     |     প্রকাশকঃ আমান উল্লাহ সরকার
যোগাযোগঃ স্যুইট # ০৬, লেভেল #০৯, ইস্টার্ন আরজু , শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণি, ৬১, বিজয়নগর, ঢাকা ১০০০, বাংলাদেশ।
মোবাইলঃ   +৮৮০ ১৭১১৩১৪১৫৬, টেলিফোনঃ   +৮৮০ ২২২৬৬৬৫৫৩৩
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫