|
প্রিন্টের সময়কালঃ ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০১:০২ পূর্বাহ্ণ     |     প্রকাশকালঃ ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৭:৪০ অপরাহ্ণ

৮টি স্থলবন্দর বন্ধের পরিকল্পনায় নৌ উপদেষ্টা


৮টি স্থলবন্দর বন্ধের পরিকল্পনায় নৌ উপদেষ্টা


চট্টগ্রাম ব্যুরো:-

 

বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী আটটি স্থলবন্দর আয় না থাকায় বন্ধ করার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাখাওয়াত হোসেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম বন্দরের কার শেডসহ বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শনের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানান।
 

আটটি স্থলবন্দর বন্ধের কারণ

নৌ পরিবহন উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেন বলেন, "আমি আটটি স্থলবন্দর শনাক্ত করেছি, যেখানে একপাশে কোনো আমদানি নেই। ১০ বছর ধরে এসব বন্দর দিয়ে এক পয়সারও আমদানি হয়নি। অথচ আমরা রাজস্ব থেকে সেখানে ব্যয় করছি। তাই এসব বন্দর বন্ধের প্রয়োজনীয়তা বা বিকল্প ব্যবস্থার বিষয়ে আলোচনা শুরু করব।" তিনি আরও জানান, বন্দরগুলোর লাভজনকতা বিশ্লেষণের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
 

নতুন স্থলবন্দর নির্মাণ পরিকল্পনা

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নে একটি স্থলবন্দর স্থাপনের পরিকল্পনার কথাও জানান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, "টেকনাফে আমাদের একটি স্থলবন্দর রয়েছে, যেখানে মিয়ানমার থেকে কিছু আমদানি হয়। একইসঙ্গে ঘুমধুম এলাকায় আরাকান ও রাখাইনের সঙ্গে আমাদের স্থল সংযোগ রয়েছে। ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে সেখানে একটি স্থলবন্দর স্থাপনের সম্ভাবনা যাচাই করা হবে। রাখাইন রাজ্যের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ছিল এবং থাকবে। প্রয়োজনে সেখানে একটি নতুন বন্দর স্থাপন করব। টেকনাফ বন্দরকে স্থলবন্দর বলা হলেও সেটি ভবিষ্যতে নৌবন্দরে রূপান্তরিত হতে পারে।"
 

চট্টগ্রাম কাস্টমসের নিলাম কার্যক্রম

চট্টগ্রাম কাস্টমসের নিলাম কার্যক্রম দ্রুত করার জন্য কিছু আইনি পরিবর্তন আনা হচ্ছে বলে জানান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, "কাস্টমসের নিলাম কার্যক্রমের অগ্রগতি ভালো। বেশ কয়েকটি নিলাম ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে এবং কিছু প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বন্দরে বছরের পর বছর পড়ে থাকা জঞ্জাল সরানোর জন্য আইনি সংস্কার করা হচ্ছে।"
 

শ্রমিক দলের বিক্ষোভ

চট্টগ্রাম বন্দরের কার শেড পরিদর্শনের পর ফেরার পথে শ্রমিক দলের বিক্ষোভের মুখে পড়েন নৌ পরিবহন উপদেষ্টা। চট্টগ্রাম বন্দর জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের প্রধান সমন্বয়ক ইব্রাহিম খোকন বলেন, "চট্টগ্রাম বন্দরের সিসিটি ও এনসিটি ইয়ার্ড দুটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এগুলো বেসরকারিকরণ না করলে প্রায় চার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে। আমরা এ বিষয়ে উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা করতে চেয়েছিলাম। বন্দর চেয়ারম্যান বরাবর চিঠিও দিয়েছি, কিন্তু কর্তৃপক্ষের কিছু কর্মকর্তার অসহযোগিতার কারণে আমাদের বাধ্য হয়ে বিক্ষোভ করতে হয়েছে।"
 

উপদেষ্টার প্রতিশ্রুতি

শ্রমিকদের দাবির বিষয়ে নৌ পরিবহন উপদেষ্টা বলেন, "আমি নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি শ্রম মন্ত্রণালয়ের বিষয়ও দেখি। শ্রমিকদের কথা আমি মনোযোগ দিয়ে শুনেছি এবং ভবিষ্যতে আরও বিস্তারিত আলোচনার জন্য চট্টগ্রামে আসার প্রতিশ্রুতি দিয়েছি। পরবর্তীতে শুধুমাত্র শ্রমিকদের সঙ্গেই বসব।"
 

এই সময় চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান রিয়াল এডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামান ও সচিব ওমর ফারুক উপস্থিত ছিলেন।


সম্পাদকঃ সারোয়ার কবির     |     প্রকাশকঃ আমান উল্লাহ সরকার
যোগাযোগঃ স্যুইট # ০৬, লেভেল #০৯, ইস্টার্ন আরজু , শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণি, ৬১, বিজয়নগর, ঢাকা ১০০০, বাংলাদেশ।
মোবাইলঃ   +৮৮০ ১৭১১৩১৪১৫৬, টেলিফোনঃ   +৮৮০ ২২২৬৬৬৫৫৩৩
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫