ঢাকা প্রেস নিউজ
উচ্চ আদালত থেকে জামিন পাওয়ার পর অবশেষে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলার প্রধান আসামি ও সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তার।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি মুক্ত হন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম কারাগারের ডেপুটি জেলার মো. ইব্রাহিম।
২০১৬ সালের ৫ জুন চট্টগ্রামের জিইসি এলাকায় ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় দুর্বৃত্তদের হাতে নিহত হন বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু। পরদিন বাবুল আক্তার বাদী হয়ে নগরের পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
পিবিআইয়ের তদন্তে বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে ২০২১ সালের ১২ মে তার বিরুদ্ধে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। একই দিন মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন পাঁচলাইশ থানায় আরেকটি মামলা দায়ের করেন, যেখানে বাবুলকে প্রধান আসামি করা হয়। ওইদিনই তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়। এরপর থেকে তিনি কারাগারে ছিলেন।
দীর্ঘদিন কারাগারে থাকার পর বাবুল আক্তার একাধিকবার জামিনের আবেদন করলেও তা নামঞ্জুর হয়। সবশেষ ২৭ নভেম্বর হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমান ও বিচারপতি আলী রেজার বেঞ্চ তাকে জামিন মঞ্জুর করেন।
জামিনের আদেশ ১ ডিসেম্বর বিচারিক আদালতে জমা দেওয়া হলেও কারা কর্তৃপক্ষ তা কার্যকরে বিলম্ব করে। এদিকে মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন জামিন স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করেন।
আজ (৪ ডিসেম্বর) চেম্বার বিচারপতি মো. রেজাউল হকের আদালতে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানিতে বাবুল আক্তারের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক এবং মিতুর বাবার পক্ষে অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান অংশ নেন।
শুনানি শেষে চেম্বার আদালত হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রাখেন। এর ফলে বাবুল আক্তারের মুক্তিতে আর কোনো আইনগত বাধা থাকে না।
বাবুল আক্তারের আইনজীবী অ্যাডভোকেট কফিল উদ্দিন জানান, মুক্তি প্রক্রিয়ায় কারা কর্তৃপক্ষের বিলম্ব দণ্ডবিধির ৩৪২ ধারা অনুযায়ী অপরাধ। বিষয়টি নিয়ে আইনগত নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
মিতু হত্যা মামলার তদন্তে পিবিআই দাবি করে, বাবুল আক্তার এই হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত। প্রথম মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন এবং দ্বিতীয় মামলার এজাহারে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। মামলাগুলোর বিচার কার্যক্রম এখনও চলছে।