রেড মিট: উপকারিতা ও ঝুঁকি

প্রকাশকালঃ ১২ জুন ২০২৪ ০৬:২১ অপরাহ্ণ ৩৪৪ বার পঠিত
রেড মিট: উপকারিতা ও ঝুঁকি

ঢাকা প্রেসঃ

কোরবানির ঈদ উপলক্ষে আমাদের খাদ্য তালিকায় রেড মিটের পরিমাণ বেড়ে যায়। প্রোটিনের ভালো উৎস হিসেবে পরিচিত রেড মিট স্বাস্থ্যের জন্য কতটা নিরাপদ? এই প্রশ্নের উত্তর জানা আজকের দিনে অত্যন্ত জরুরি।

 

গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া ইত্যাদি স্তন্যপায়ী প্রাণীর মাংসকে রেড মিট বলা হয়। এতে প্রোটিন, আয়রন, জিঙ্ক, ভিটামিন বি১২ প্রচুর পরিমাণে থাকে।

উপকারিতা:

  • প্রোটিনের উৎস: রেড মিট আমাদের শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় অ্যামিনো অ্যাসিড সরবরাহ করে।
  • আয়রনের উৎস: রক্ত তৈরিতে সাহায্য করে।
  • জিঙ্কের উৎস: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
  • ভিটামিন বি১২: স্নায়ু ও রক্ত কোষের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

ঝুঁকি:

  • সম্পৃক্ত চর্বি: রেড মিটে সম্পৃক্ত চর্বির পরিমাণ বেশি থাকে। অতিরিক্ত পরিমাণে সেবন করলে কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
  • হিম: রেড মিটে হিম নামক রাসায়নিক পদার্থ থাকে যা প্রক্রিয়াজাত মাংসে (যেমন: বেকন, সসেজ) বেশি পরিমাণে থাকে। অতিরিক্ত হিম সেবন কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।
  • রান্নার পদ্ধতি: রেড মিট পোড়ানো বা অতিরিক্ত তেল-মসলা দিয়ে রান্না করলে ক্ষতিকর রাসায়নিক তৈরি হতে পারে যা ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।

কতটুকু রেড মিট খাওয়া নিরাপদ?

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সপ্তাহে ৫০০ গ্রামের কম প্রক্রিয়াজাত রেড মিট এবং ৭০ গ্রামের কম অপ্রক্রিয়াজাত রেড মিট খাওয়ার পরামর্শ দেয়।

কাদের জন্য রেড মিট সীমিত করা উচিত?

  • যারা হৃদরোগ, উচ্চরক্তচাপ, ডায়াবেটিস, কিডনি রোগ বা ক্যান্সারে আক্রান্ত
  • যারা ওজন কমাতে চান

রেড মিট খাওয়ার সময় টিপস:

  • চর্বি কম মাংস: চর্বি কম থাকা মাংস যেমন: গরুর লেজ, খাসির লেজ, মুরগির বুকের মাংস বেছে নিন।
  • সঠিক রান্নার পদ্ধতি: পোড়ানো, বারবার গরম করা এড়িয়ে চলুন। বরং, স্টিম, ব্রয়ল, বেকিং এর মাধ্যমে রান্না করুন।
  • সবজি: রেড মিটের সাথে প্রচুর পরিমাণে সবজি খান।
  • পরিমাণ: পরিমিত পরিমাণে খান।