|
প্রিন্টের সময়কালঃ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১০:২৮ অপরাহ্ণ     |     প্রকাশকালঃ ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০১:৫৮ অপরাহ্ণ

ভারত ম্যাচে নাহিদ রানাকে না খেলানো ভুল সিদ্ধান্ত


ভারত ম্যাচে নাহিদ রানাকে না খেলানো ভুল সিদ্ধান্ত


ক্রীড়া প্রতিবেদক

 

বাংলাদেশের টপঅর্ডারের দুর্বলতা আবারও প্রকট হলো ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে। ম্যাচ-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে নাজমুল হোসেন শান্ত বলেছিলেন, জিততে হলে টপঅর্ডার ব্যাটারদের বড় ইনিংস খেলতে হবে। তবে বাস্তবে তা হয়নি। তিন টপঅর্ডার ব্যাটারই ব্যর্থ হন, ফলে ৩৫ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ দল। এমন পরিস্থিতিতে দলের হাল ধরেন তাওহিদ হৃদয় ও জাকের আলী। ১৫৪ রানের দুর্দান্ত জুটি গড়ে তারা দলকে লড়াই করার মতো সংগ্রহ এনে দেন। হৃদয় ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি করেন, যা প্রশংসিত হয়েছে সর্বমহলে, যদিও দল হেরে গেছে। জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশারও হৃদয় ও জাকেরের ব্যাটিংয়ের প্রশংসা করেছেন এবং গ্রুপপর্বের বাকি ম্যাচগুলোতেও তাদের ওপর আস্থা রাখতে চান। তবে পরবর্তী ম্যাচে মাহমুদউল্লাহর দলে থাকার সম্ভাবনা কম।
 

বাংলাদেশের টপঅর্ডার ব্যাটাররা দীর্ঘদিন ধরে ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারছেন না। সৌম্য সরকার, তানজিদ হাসান তামিম ও নাজমুল হোসেন শান্ত নিয়মিতভাবে ব্যর্থ হচ্ছেন, ফলে মিডল অর্ডারকে ইনিংস মেরামত করতে হচ্ছে। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচেও মেহেদী হাসান মিরাজ ও মুশফিকুর রহিম দ্রুত আউট হওয়ায় ৮.৩ ওভারে পাঁচ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। হৃদয় ও জাকেরের লড়াকু ব্যাটিং সত্ত্বেও বড় স্কোর গড়া সম্ভব হয়নি। হাবিবুল বাশারের মতে, ‘টপঅর্ডার ব্যর্থ হলে ম্যাচ বাঁচানো কঠিন হয়ে যায়। হৃদয়-জাকের অসাধারণ ব্যাটিং করেছে, কিন্তু ১০ ওভারে ৩৫ রানে পাঁচ উইকেট পড়লে আর কিছু করার থাকে না। টপঅর্ডারের ব্যর্থতার কারণেই ম্যাচ হাতছাড়া হয়েছে। আমাদের বোলিং খারাপ হয়নি, তবে কন্ডিশন অনুযায়ী আরও একজন স্পিনার খেলানো যেত।’
 

বোলিং লাইনআপে নাহিদ রানাকে না রাখায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন অনেকেই। ভারতীয় ব্যাটারদের জন্য আতঙ্ক হয়ে ওঠার সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও তিনি একাদশে সুযোগ পাননি। সাবেক নির্বাচক হাবিবুল বাশার মনে করেন, ব্রেক থ্রু পাওয়ার জন্য রানাকে খেলানো যেত, ‘তৃতীয় পেসার হিসেবে আমি নাহিদ রানাকে দিতাম, অথবা একজন স্পিনার বেশি খেলাতাম। ৫০ ওভারের ক্রিকেটে মাঝের উইকেট না নিতে পারলে রান ডিফেন্ড করা কঠিন হয়ে পড়ে। এখনকার ব্যাটাররা শেষ ১০ ওভারে ১০০ রান তুলতে পারে, তাই প্রতিপক্ষকে কম রানে আটকে রাখতে হলে মাঝের ওভারে উইকেট নেওয়া জরুরি। নাহিদ রানার উইকেট নেওয়ার সামর্থ্য আছে, তাই তাকে দলে রাখা উচিত ছিল।’
 

৩৯ বছর বয়সী মাহমুদউল্লাহ হালকা চোটের কারণে ভারতের বিপক্ষে খেলতে পারেননি, এবং পরবর্তী ম্যাচেও তার খেলার সম্ভাবনা কম। সাবেক নির্বাচক বাশার মনে করেন, ‘মাহমুদউল্লাহর ইনজুরি গুরুতর নয়, তবে সে ফিট হলেও একাদশে জায়গা পাওয়া কঠিন হবে। হৃদয় ও জাকের দারুণ ব্যাটিং করেছে, ফলে তাদের জায়গা অটুট থাকার কথা। পাশাপাশি পাঁচজন বোলারও দরকার, তাই টিম ম্যানেজমেন্টকে বিষয়টি নিয়ে ভাবতে হবে।’


সম্পাদকঃ সারোয়ার কবির     |     প্রকাশকঃ আমান উল্লাহ সরকার
যোগাযোগঃ স্যুইট # ০৬, লেভেল #০৯, ইস্টার্ন আরজু , শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণি, ৬১, বিজয়নগর, ঢাকা ১০০০, বাংলাদেশ।
মোবাইলঃ   +৮৮০ ১৭১১৩১৪১৫৬, টেলিফোনঃ   +৮৮০ ২২২৬৬৬৫৫৩৩
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫