রাজবাড়ীতে বীজের উচ্চ দামে পেঁয়াজ-রসুন চাষে খরচ বৃদ্ধি

প্রকাশকালঃ ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ০৪:২৯ অপরাহ্ণ ০ বার পঠিত
রাজবাড়ীতে বীজের উচ্চ দামে পেঁয়াজ-রসুন চাষে খরচ বৃদ্ধি

ঢাকা প্রেস,রাজবাড়ী প্রতিনিধি:-
 

অতিবৃষ্টির কারণে রাজবাড়ীতে আগাম জাতের মুড়িকাটা পেঁয়াজের আবাদ পিছিয়ে গেছে। এতে পেঁয়াজ রোপণের সময় দেরি হওয়ায়, ফলন ও বাজারের দাম নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন জেলার চাষিরা।
 

কৃষি বিভাগ জানাচ্ছে, তারা কৃষকদের পাশে রয়েছে এবং লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সহায়তা করবে। পেঁয়াজ উৎপাদনে রাজবাড়ী সারা দেশে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে। এখানে প্রায় ৩২ হাজার হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষ হয়, এবং চলতি মৌসুমে ৫ হাজার হেক্টর জমিতে মুড়িকাটা পেঁয়াজের আবাদ শুরু হয়েছে। এই মৌসুমে জেলার প্রায় ৮১ মেট্রিক টন পেঁয়াজ উৎপাদিত হওয়ার আশা করা হচ্ছে।
 

এদিকে, যাঁরা অল্প জমিতে মুড়িকাটা পেঁয়াজ আবাদ করেছেন, তাঁদেরও বিপদ ঘটেছে। অতিবৃষ্টির কারণে অনেক পেঁয়াজের খেত নষ্ট হয়ে গেছে এবং পচন রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে।
 

দেশের তৃতীয় বৃহত্তম পেঁয়াজ উৎপাদক জেলা রাজবাড়ীতে এখন আগাম পেঁয়াজ ও রসুনের বীজ রোপণ করা হচ্ছে। তবে, স্থানীয় কৃষকদের মতে, ভরা মৌসুমে পেঁয়াজের আবাদ আরও এক মাস পরে শুরু হবে। জানুয়ারি মাসের মধ্যে ফসল ঘরে তোলার কাজ শুরু হবে।
 

বীজের দাম বাড়ায় ক্ষুদ্র কৃষকদের জন্য এটি একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে, জানাচ্ছেন চর দৌলতদিয়া গ্রামের কৃষক মতিয়ার রহমান। তিনি বলেন, ‘‘বীজে এত টাকা খরচ হলে, রাসায়নিক সার, কীটনাশক, সেচ এবং শ্রমিক খরচ মেটানো অনেকের পক্ষেই সম্ভব হয় না।’’
 

রাজবাড়ী সদরের কৃষি কর্মকর্তা মো. জনি খান স্বীকার করেছেন যে, পেঁয়াজ-রসুনের বীজের দাম বেশি। তবে তিনি আশাবাদী যে, ভাল ফলন হলে কৃষকরা খরচের মূল্য পুষিয়ে নিতে পারবেন।
 

সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রবিউল আলম বলেন, বীজসহ সকল কৃষিপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাজার তদারকি করা হচ্ছে। কেউ যদি ন্যায্য দামের চেয়ে বেশি নেন, তবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
 

রাজবাড়ী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ডা. মো. শহিদুল ইসলাম জানান, মুড়িকাটা পেঁয়াজের আবাদ প্রায় এক মাস দেরিতে শুরু হলেও, এতে উৎপাদনে তেমন কোনো প্রভাব পড়বে না। কৃষি বিভাগ পেঁয়াজের ফলন বাড়ানোর জন্য ২৪টি প্লটে সার ও বীজ সহায়তা দিয়েছে।
 

এ বছর রাজবাড়ী জেলার ৫ হাজার হেক্টর জমিতে আগাম জাতের মুড়িকাটা পেঁয়াজ আবাদ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। যদি আগামী দুই মাসে আর বৃষ্টি না হয়, তবে পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হবে, এমন আশাই রাখছেন কৃষকেরা।