|
প্রিন্টের সময়কালঃ ১২ নভেম্বর ২০২৫ ১২:০০ পূর্বাহ্ণ     |     প্রকাশকালঃ ১১ নভেম্বর ২০২৫ ০৬:৩৯ অপরাহ্ণ

জুলাই সনদের আইনি স্বীকৃতি ছাড়া নির্বাচন নয়: জামায়াত আমির


জুলাই সনদের আইনি স্বীকৃতি ছাড়া নির্বাচন নয়: জামায়াত আমির


গণভোটের মাধ্যমে জুলাই সনদকে আইনি ভিত্তি দেওয়ার দাবি জানিয়ে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, “আমাদের দাবি অল্প, কিন্তু স্পষ্ট—জুলাই বিপ্লবকে স্বীকৃতি দিতে হবে। আর সেই স্বীকৃতি দিতে হলে জুলাই সনদকে আইনি ভিত্তি দিতেই হবে। এই আইনি স্বীকৃতি ছাড়া দেশে কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার সুযোগ নেই।”
 

মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর পল্টন মোড়ে জামায়াতসহ আন্দোলনরত আট দলের সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। ‘জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি ও উক্ত আদেশের ওপর গণভোট আয়োজন’-সহ পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরেন শফিকুর রহমান।
 

তিনি বলেন, “২০২৬ সালের নির্বাচন দেখতে হলে আগে জুলাই বিপ্লবের স্বীকৃতি দিতে হবে। যারা জুলাই বিপ্লব মানবে না, তাদের জন্য ২৬ সালের কোনো নির্বাচন নেই।”
 

জামায়াতের এই শীর্ষ নেতা দাবি করেন, দেশের জনগণ নির্বাচনের আগে গণভোট চায়। “গণভোটের বিষয়ে সব দল একমত, তাহলে তারিখ নিয়ে এই টালবাহানা কেন?”—প্রশ্ন রাখেন তিনি।
 

তিনি আরও বলেন, “দলগুলো যখন একমত হয়ে জুলাই সনদে সাক্ষর করেছে, তখন গণভোট আগে হওয়াই যুক্তিসঙ্গত। এর ভিত্তিতেই যদি নির্বাচন হয়, তবে কোনো সন্দেহ বা বিভ্রান্তি থাকবে না।”
 

আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে, অর্থাৎ রমজানের আগেই জাতীয় নির্বাচন চায় জামায়াতসহ আট দল—উল্লেখ করে শফিকুর রহমান বলেন, “এ বিষয়ে কেউ যেন ধোঁয়াশা সৃষ্টি করার চেষ্টা না করে।”
 

জামায়াত আমির বলেন, “সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের মতামতের ভিত্তিতেই জুলাই সনদ প্রণীত হয়েছে। গণতন্ত্র মানে সংখ্যাগরিষ্ঠের সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া। কিন্তু কেউ কেউ তা মানতে রাজি নন। জুলাই সনদ মানতে যারা অনিচ্ছুক, তারা গণতন্ত্র বা জাতীয় নির্বাচনের প্রতিও শ্রদ্ধাশীল নন।”
 

কোনো দলের নাম না নিয়ে তিনি বলেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের ভাষা বুঝতে হবে। আগামী নির্বাচনে কোনো দলের নয়, হবে জনতার বিজয়। যারা জনগণের বার্তা বুঝতে ব্যর্থ হবেন, তাদের পরিণতি নিজেদেরই ভোগ করতে হবে।”
 

শফিকুর রহমান আরও বলেন, “আমরা ভদ্র ভাষায় কথা বলছি, এবং ভদ্র ভাষায়ই বলব। তবে জনগণের দাবির ক্ষেত্রে আমরা হিমালয়ের মতো অনড় থাকব। কারণ, এই দাবি কোনো দলের নয়—জনগণের।”
 

আট দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “প্রস্তুত হোন। জনগণের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে দুর্বার গতিতে, ইনশাআল্লাহ।”
 

তিনি জানান, দ্রুতই নতুন কর্মসূচির ঘোষণা আসবে। সমাবেশ শেষে আট দলের শীর্ষ নেতারা বৈঠকে বসবেন এবং অল্প সময়ের মধ্যেই পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
 

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম। সঞ্চালনায় ছিলেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ, রফিকুল ইসলাম খান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম মাসুদ, ইসলামী আন্দোলনের যুগ্ম মহাসচিব আহমাদ আবদুল কাইয়ুম ও সহ-প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক কে এম শরীয়াতুল্লাহ।
 

এছাড়া সমাবেশে বক্তব্য দেন—জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব ইউনুছ আহমাদ, খেলাফত মজলিসের আমির আবদুল বাসিত আজাদ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মামুনুল হক, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির আমির সরওয়ার কামাল আজিজি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমির হাবিবুল্লাহ মিয়াজী, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) মুখপাত্র রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম চাঁন প্রমুখ।


সম্পাদকঃ সারোয়ার কবির     |     প্রকাশকঃ আমান উল্লাহ সরকার
যোগাযোগঃ স্যুইট # ০৬, লেভেল #০৯, ইস্টার্ন আরজু , শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণি, ৬১, বিজয়নগর, ঢাকা ১০০০, বাংলাদেশ।
মোবাইলঃ   +৮৮০ ১৭১১৩১৪১৫৬, টেলিফোনঃ   +৮৮০ ২২২৬৬৬৫৫৩৩
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫