জ্বর হলে সবচেয়ে প্রথম যে ওষুধের কথা মনে পড়ে তা হলো প্যারাসিটামল। কিন্তু কত পরিমাণে এবং কত ঘন ঘন এই ওষুধ খাওয়া উচিত, তা অনেকেই জানেন না। আসুন জেনে নিই প্যারাসিটামল সম্পর্কে বিস্তারিত।
প্যারাসিটামল কীভাবে কাজ করে?
যখন শরীরে কোনো সংক্রমণ হয়, তখন শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। এই বেড়ে যাওয়া তাপমাত্রাকেই আমরা জ্বর বলি। প্যারাসিটামল শরীরের তাপমাত্রা কমিয়ে এবং ব্যথার অনুভূতি কমিয়ে আরাম দেয়।
কত পরিমাণ প্যারাসিটামল খাওয়া উচিত?
প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য: সাধারণত একজন প্রাপ্তবয়স্ক দিনে ৪-৬টি প্যারাসিটামল ট্যাবলেট খেতে পারেন। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করা উত্তম।
শিশুদের জন্য: শিশুদের ক্ষেত্রে ওজন ও বয়স অনুযায়ী ডোজ নির্ধারণ করা হয়। অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে শিশুকে ওষুধ দিন।
প্যারাসিটামল খাওয়ার নিয়ম:
খাবারের সাথে: খালি পেটে প্যারাসিটামল খাওয়া উচিত নয়। খাবারের সাথে পানি দিয়ে প্যারাসিটামল গিলে নিন।
পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন: প্যারাসিটামল খাওয়ার পর পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন।
প্যারাসিটামলের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া:
অধিকাংশ মানুষ প্যারাসিটামল ভালোভাবে সহ্য করতে পারে। তবে কখনো কখনো কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে, যেমন:
ত্বকের অ্যালার্জি
বমি বমি ভাব
তন্দ্রা
কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন?
যদি জ্বর ৩-৪ দিনের বেশি থাকে।
যদি জ্বরের সাথে অন্য কোনো উপসর্গ দেখা দেয়, যেমন গলা ব্যথা, কাশি, ডায়রিয়া।
যদি প্যারাসিটামল খাওয়ার পরও জ্বর কম না হয়।
যদি আপনার লিভার বা কিডনির কোনো সমস্যা থাকে।
প্যারাসিটামল একটি কার্যকরী ওষুধ হলেও, এটি অপব্যবহার করা উচিত নয়। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অতিরিক্ত প্যারাসিটামল সেবন লিভারের ক্ষতি করতে পারে।