মজলুম জননেতা মাওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী আজ

প্রকাশকালঃ ১৭ নভেম্বর ২০২৪ ১১:৪৯ পূর্বাহ্ণ ৩৯৪ বার পঠিত
মজলুম জননেতা মাওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী আজ

ঢাকা প্রেস নিউজ
 

আজ ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী মজলুম জননেতা মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর। আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মাওলানা ভাসানী ১৯৭৬ সালের এই দিনে ঢাকার পিজি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাকে টাঙ্গাইলের সন্তোষে সমাহিত করা হয়।
 

 

মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সন্তোষে তার পরিবার, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ভক্ত-অনুসারী, রাজনীতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো দিনটি নানা কর্মসূচির মাধ্যমে পালন করছে।
 


মাওলানা ভাসানী ছিলেন অবহেলিত ও শোষিত মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামী নেতা। অধিকারবঞ্চিতদের পাশে থেকে তিনি জাতীয় সংকটে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করে আন্দোলন গড়ে তুলেছেন। তার দীর্ঘ কর্মময় জীবনে তিনি সবসময় জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়েছেন এবং ব্যক্তিস্বার্থের ঊর্ধ্বে থেকে নিঃস্বার্থভাবে কাজ করেছেন। ক্ষমতার কাছাকাছি থেকেও ক্ষমতার মোহ কখনো তাকে আচ্ছন্ন করতে পারেনি। নির্মোহ ও সাদাসিধে জীবনযাপনের মাধ্যমে তিনি দেশের জনগণের প্রতি গভীর ভালোবাসার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
 

শোষণমুক্ত, গণতান্ত্রিক ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠনে মাওলানা ভাসানী আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। বাঙালি জাতিসত্তার বিকাশে তার অবদান চিরস্মরণীয়।


১৮৮০ সালের ১২ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জের ধানগড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন মাওলানা ভাসানী। যদিও জন্ম সিরাজগঞ্জে, জীবনের বড় অংশ তিনি কাটিয়েছেন টাঙ্গাইলের সন্তোষে। কৈশোর থেকেই রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ভাসানী দীর্ঘদিন বাংলা-আসাম প্রদেশ মুসলিম লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট গঠনকারী অন্যতম নেতা এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে প্রবাসী সরকারের উপদেষ্টামণ্ডলীর সভাপতি ছিলেন তিনি।


আজ সকালে সন্তোষে তার মাজারে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন পুষ্পস্তবক অর্পণ করবে। কয়েক দিন আগে থেকেই তার অনুসারী ও মুরিদানরা সন্তোষে এসে জড়ো হয়েছেন। এছাড়া মাওলানা ভাসানী ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে সন্তোষে সাত দিনব্যাপী ‘ভাসানী মেলা’ চলছে।
 

মাওলানা ভাসানীর জীবন ও সংগ্রাম এই জাতির জন্য এক অমূল্য প্রেরণা। তার আদর্শকে ধারণ করে এগিয়ে যাক প্রজন্ম।