কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নার্সেস এসোসিয়েশনের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

আবুল কালাম আজাদ, কুমিল্লা প্রতিনিধিঃ-
বিগত আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের আমলে কিছু সংখ্যক দোসর বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার ব্যানার ব্যবহার করে আওয়ামী ফ্যাসিবাদীগণ ৫ আগষ্ট সরকার পতনের পর তাদের আত্মরক্ষার জন্য অবৈধ কার্যক্রম সুকৌশলে চালিয়ে যাওয়ার জন্য গত ৯ সেপ্টেম্বর ৪১ সদস্য বিশিষ্ট তৎক্ষণাৎ নার্সেস এসোসিয়েশন তৈরী করে, তৎকালীন সেবা তত্ত্বাবধায়ক পদটি (ভারপ্রাপ্ত) পাওয়ায় তাকে বিভিন্নভাবে হুমকি-দামকি দিয়ে নার্সেস এসোসিয়েশন গঠন করে। তাদের বিভিন্ন ধরনের অনৈতিক কার্য্যক্রম অদ্যাবধি চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, নার্সেস এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ হাসান আলী খান কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেন বার্ণপ্লাস্টিক ওয়ার্ডের ইনর্চাজ থাকা কালিন সময় আটাইশ লাখ টাকা ডিউডার্ম চুরি করে এবং তৎকালিন সময় লেয়াজু করে বিষয়টি ধামাচাপা দেয় এবং উক্ত টাকা সরকারি কােষাগারে জমা দেয়ার কথা থাকলে অদ্যবধি জমা দেয় নি। উক্ত বিষয় নিয়ে বর্তমান সেবা তত্ত্বাবধায়ক সমাধান করার কথা বললে তাকে হুমকিধামকি প্রদান করেন।
নার্সেস এসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ অলি উল্লাহ আওয়ামী ফ্যাসিবাদী আমলে সক্রিয়ভাবে কাধে কাধ মিলিয়ে আওয়ামীলীগের জন্য ভোট সংগ্রহ করেন এবং আওয়ামীদের সকল কার্যক্রম স্বশরীলে ও সোশ্যাল মিডিয়াতে সক্রিয়ভাবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি বিএনপি পন্থী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন ও নার্সেস এসোসিয়েশনের ক্ষমতার অপব্যাবহার করেন। তিনি কুমিল্লা নার্সিং ইনস্টিটিউটে ছাত্র থাকাকালীন সময় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ক্যাজুয়ালিটি ওয়ার্ডে প্রশিক্ষণরত অবস্থায় রোগীর ক্যাডগাড নামক সুতা চুরি করেন এবং তা লিখিত ভাবে শিকারুক্তি প্রদান করেন পরবর্তীতে নার্সিং ইনষ্ট্রিক্টর ইনর্চাজ ও সেবা তত্ত্বাবধায়কে নিকট ক্ষমা চেয়ে আর চুরি করবেনা বলে লিখিত জবাবা দেন। বর্তমানে নার্সেস এসোসিয়েশনের ব্যানার ব্যবহার করে বিভিন্ন প্রোগ্রামের নাম ব্যবহার করে অতিরিক্ত চাঁদা উত্তোলন করেন এবং বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানির নিকট হতে চাঁদা উত্তোলন করেন।
নার্সেস এসোসিয়েশনের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক সিনিয়র স্টাফ নার্স মোসাঃ ফাতেমা আক্তার কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২০১৮ সালেন ৮ নভেম্বর সরকারী চাকুরীতে যোগদান করেন। তিনি বিগত চার বছর যাবৎ সেবা তত্ত্বাবধায়ক এর রুমে কাজ করতেন এবং নার্সিং অফিসের কাজের সুবাদে সকল তথ্য জানতেন। গত ৪ মার্চ অত্র হাসপাতালে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ ক্রমে সেবা তত্ত্বাবধায়ক এর রুম থেকে এন্টিনেটাল চেকআপ বিভাগে ট্রান্সফার করেন। পরবর্তীতে মোসাঃ ফাতেমা আক্তার নার্সেস এসোসিয়েশন নিয়ে মিটিং করেন। মিটিং চলাকালিন সময়ে নার্সেস এসোসিয়েশনের কাছে তিনি বলেন সেবা তত্ত্বাবধায়ক উক্ত কমিটির লোকদের পারসনাল ডাটাশিট সংগ্রহন করছেন আপনাদের সকলকে অন্যত্র বদলী করে দিবেন আরো অনেক মিথ্যা বানোয়ট কথা বলে সকলকে উক্তেজিত করেন ও তার কথার পরিপেক্ষিতে সেবা তত্ত্বাবধায়কে অপসরন করানোর জন্য কমিটির সকলকে নিয়ে সেবা কাজে বিঘ্ন গঠিয়ে বাহির অবস্থান করেন ও মিটিং করেন।
নার্সেস এসোসিয়েশনের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক বোরহান উদ্দিন পাটোয়ারী বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতা আহত হয়ে রাতে জরুরী বিভাগে ভর্তি চিকিৎসা সেবা নিতে আসলে বোরহান উদ্দিন পাটোয়ারী ২৫ টাকার ভর্তি টিকেট ১০০ টাকা দাবি করেন। পরবর্তীতে তৎকালিন পরিচালক তাকে জরুরী বিভাগ থেকে পুরুষ সার্জারী ওয়ার্ডে প্রেরন করেন। কিছুদিন পরে নার্সেস এসোসিয়েশনের ক্ষমতা বলে পুনরায় জরুরী বিভাগে ফিরে আসেন। বর্তমানে তিনি জরুরী বিভাগে মেডিকেল সনদের দায়িত্ব পাওয়ার পর মেডিকেল সনদের রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন।
নার্সেস এসোসিয়েশনের সহ সভাপতি রনজিৎ চন্দ্র দাস আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সকল কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন এবং তিনি জরুরী বিভাগে ডিউটিরত অবস্থায় সাধারন রোগী থেকে ২৫ টাকা ভর্তি টিকেট ৫০ টাকা দাবি করেন।
উক্ত বিষয়ে বর্তমান সেবা তত্ত্বাবধায়ক মিসেস ফারহানা আক্তার জানান বিগত আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের আমলে যারা দোসর ছিলেন, তারাই আজ নিজেদের অপকর্ম ডাকার জন্য নার্সেস এসোসিয়েশন এর নামে একত্রিত হয়ে তাদের অপর্কমডাকা সহ নতুন করে অকর্ম করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। যার অনেক প্রমান রয়েছে। তারা আমাকে জড়িয়ে বিভিন্ন মিত্যা তথ্য দিয়ে বিভিন্ন সংবাদ প্রকাশ করছে। আমি উক্ত মিথ্যা তথ্যের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
সম্পাদকঃ সারোয়ার কবির | প্রকাশকঃ আমান উল্লাহ সরকার
যোগাযোগঃ স্যুইট # ০৬, লেভেল #০৯, ইস্টার্ন আরজু , শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণি, ৬১, বিজয়নগর, ঢাকা ১০০০, বাংলাদেশ।
মোবাইলঃ +৮৮০ ১৭১১৩১৪১৫৬, টেলিফোনঃ +৮৮০ ২২২৬৬৬৫৫৩৩
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫