মিসিসিপির একটি শহর নিশ্চিহ্ন হয়ে গেল ঝড়ের তাণ্ডবে

প্রকাশকালঃ ২৭ মার্চ ২০২৩ ১১:৩২ পূর্বাহ্ণ ১৪০ বার পঠিত
মিসিসিপির একটি শহর নিশ্চিহ্ন হয়ে গেল ঝড়ের তাণ্ডবে

য়ংকর টর্নেডোয় বিধ্বস্ত মিসিসিপি। শুক্রবার গভীর রাতে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে তছনছ হয়ে যায় বিস্তীর্ণ এলাকা। আপাতত ২৬ জনের মৃত্যু নিশ্চিত হলেও মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলেই মনে করছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।

ধ্বংসাবশেষের আড়ালে অনেকেই আটকে রয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। রবিবারও টর্নেডো কবলিত অঞ্চলগুলোতে অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান অব্যাহত ছিল। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মিসিসিপিতে পুনরুদ্ধার কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন। হোয়াইট হাউজের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট বাইডেন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ফেডারেল সহায়তার নির্দেশ দিয়েছেন। পাশপাশি ক্যারল, হামফ্রেস, মনরো এবং শার্কির কাউন্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য তহবিল গঠন করা হয়েছে। মিসিসিপির ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি জানিয়েছে, স্থানীয় সময় শুক্রবার রাতে এ টর্নেডোটি আঘাত হানে। যার গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার। টর্নেডোটি যেসব এলাকার ওপর দিয়ে গেছে সেখানে রীতিমতো ধ্বংসলীলা চালিয়েছে। প্রায় ২ হাজার মানুষের শহর রোলিং ফর্ক নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। সেখানে কোনোকিছুই অবশিষ্ট নেই। এখানকার ৭৫ শতাংশ বাসিন্দাই কৃষ্ণাঙ্গ এবং এক পঞ্চমাংশ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে। শহরটির মেয়র এলড্রিজ ওয়াকার বলেছেন, ঝড় আমাদের শহরটিকে নিশ্চিহ্ন করে দিল।

টেলিভিশন ফুটেজ দেখা যায়, কোনো গাছপালা দাঁড়ানো নেই। চারদিকে ধ্বংসস্তূপ। বাড়িঘর উড়ে গেছে। মিসিসিপি ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সির মুখপাত্র ম্যালারি হোয়াইট বলেছেন, দিনের আলোতে কর্মকর্তারা সার্ভে না করা পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, আমাদের প্রধান অগ্রাধিকার হলো স্থানীয়দের সেবায় আত্মনিয়োগ করা। তাদের জীবন বাঁচানো। তাদেরকে নিশ্চয়তা দেওয়া যে, তাদের জীবন নিরাপদ।—সিএনএন ও আলজাজিরা