ঢাকা প্রেস
আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:-
হিমালয় পাদদেশের উত্তরের জেলা কুড়িগ্রাম। এ জেলায় শুরু হয়েছে শীতের আগমন। সকালে সবুজ ঘাসের উপর শিশির বিন্দু বিন্দু ফোটা আর কুয়াশায় ঢাকা সোনালী ধানক্ষেত।
দিনে সূর্যের কিছুটা দাপট থাকলেও সন্ধ্যা হতেই তা হ্রাস পেতে শুরু করে। হালকা ঠান্ডা ও মৃদু কুয়াশায় বলে দিচ্ছে শীতের আগমনি বার্তা। আর এই শীত নিবারণের জন্য অনেকে ভিড় করছে দোকানগুলোতে। এতে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত লেপ-তোশক, জাজিম তৈরি করতে ব্যস্ত থাকেন কারিগররা।
সরেজমিনে দেখা যায়, কুড়িগ্রাম শহরের পৌর বাজারের সামনে, নিউ মার্কেটের এন আর প্লাজার সামনে ও কালীবাড়ী বটতলায় জাজিম, লেপ-তোশক তৈরিতে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন কারিগররা।
নিউ মার্কেটের কাপড় দোকানের কর্মচারী জয়নাল জানায়, শহরের লোকজন লেপ-তোশক বানাতে শুরু করেছে। ক্রেতাদের চাহিদা হরেক রকমের তুলা দিয়ে ছোট বড় লেপ বা তোশক তৈরি করা। বর্তমানে শিমুল তুলা ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা, কার্পাস তুলা ১২০, গার্মেন্টস তুলা ৪০ টাকা কেনাবেচা চলছে।
কাপড় বাজারের লেপ-তোশক তৈরির কারিগর ছাইফুল আলম জানান, এখন অগ্রহায়ণ মাস শীতের মৌসুম পড়েছে। এ শীতে শুরুতেই লেপ-তোশক তৈরির বেশ অর্ডার পাওয়া যাচ্ছে, আশা করছি পৌষ ও মাঘ মাসে এবার কাস্টমার ভালোই পাওয়া যাবে।
বটতলা মার্কেটের দবির উদ্দিন জানান- গার্মেন্টস তুলা দিয়ে একটি লেপ তৈরি করতে প্রায় ১৫শ’ টাকা লাগে। আমরা দোকানে ৫-৬ জন কাজ করি। প্রতিদিন ৫ থেকে ৭টি লেপ-তোশক তৈরি করছি। প্রত্যেক লেপ তৈরি করে ৩০০ টাকা আর জাজিম তৈরি করে ৬০০ টাকা মজুরি পাই। প্রতিদিন ভাগে জনপ্রতি ১২শ থেকে ১৫০০ টাকা পাই।
কুড়িগ্রাম সদরের আমবাড়ি মোড় থেকে আসা মো. ফরহাদ হোসেন বলেন, দিনে বেশ গরম কিন্তু সন্ধ্যা হতে ঠান্ডা শুরু হয়। তাছাড়া সামনের মাসে তো বেশি ঠান্ডা পড়বে। তাই ছেলে-মেয়ের জন্য দুটি লেপ তৈরির করলাম।