|
প্রিন্টের সময়কালঃ ২২ এপ্রিল ২০২৫ ০৭:২০ পূর্বাহ্ণ     |     প্রকাশকালঃ ২১ এপ্রিল ২০২৫ ০৭:৪৮ অপরাহ্ণ

আমরা চীনের ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী হতে চাই: প্রধান উপদেষ্টা


আমরা চীনের ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী হতে চাই: প্রধান উপদেষ্টা


ঢাকা প্রেস-নিউজ ডেস্ক:-

 

বাংলাদেশ-চীন কূটনৈতিক সম্পর্কের পঞ্চাশ বছর পূর্তিতে দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার নতুন দিগন্ত উন্মোচনের আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, "আমরা শুধু ভালো প্রতিবেশী নই, বরং খুব ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী হতে চাই।"
 

সোমবার রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় চীনের ইউনান প্রদেশের গভর্নর ওয়াং ইউবোর সঙ্গে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে এই মন্তব্য করেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, “এটা কেবল শুরু। আমরা এত কাছাকাছি হয়েও এত দূরে—এই বাস্তবতা বদলাতে চাই। আশা করি, আপনি আবার আমাদের দেশে আসবেন।”
 

নতুন অধ্যায়ের সূচনা

বৈঠকে প্রফেসর ইউনূস তার সাম্প্রতিক চীন সফরের স্মৃতিচারণ করে বলেন, এটি দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি 'টার্নিং পয়েন্ট'। তিনি চীনের উষ্ণ আতিথেয়তার প্রশংসা করেন এবং চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সহযোগিতামূলক মনোভাবের জন্য কৃতজ্ঞতা জানান।
 

গভর্নর ওয়াং ইউবো বলেন, "আমার এই সফরের উদ্দেশ্য হলো বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক আরও দৃঢ় করা। ইউনান দক্ষিণ এশিয়ার সঙ্গে চীনের সংযোগস্থল হিসেবে কার্যকর ভূমিকা রাখতে চায়।"
 

বহুমাত্রিক সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি

বৈঠকে উভয় পক্ষই স্বাস্থ্য, শিক্ষা, যুব বিনিময় ও বাণিজ্যসহ নানা খাতে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন। প্রফেসর ইউনূস বলেন, “আপনি যেসব বিষয়ে সহযোগিতার প্রস্তাব দিয়েছেন—স্বাস্থ্য, শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, বাণিজ্য—সবকিছুতেই আমরা সম্মত। আমরা এগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করতে চাই।”
 

চিকিৎসা পর্যটনের বিষয়ে তিনি বলেন, “বাংলাদেশি রোগীদের জন্য কুনমিংয়ের চারটি নির্দিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসা সুযোগ তৈরি একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এটি আমাদের অংশীদারিত্বের নতুন অধ্যায় সূচিত করবে।”
 

ক্ষুদ্রঋণ, বৃত্তিমূলক শিক্ষা ও বাণিজ্য প্রসার

গভর্নর ইউবো জানান, ইউনানে একটি চীনা ব্যাংক ইতোমধ্যে প্রফেসর ইউনূসের প্রবর্তিত ক্ষুদ্রঋণ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে এবং অনেক মানুষ এতে উপকৃত হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, "মানুষে-মানুষে সম্পর্ক জোরদার করতে হবে এবং আমাদের অঞ্চলগুলোকে আরও কাছাকাছি আনতে হবে।"
 

এছাড়া, তিনি সামুদ্রিক খাদ্য, আম ও কৃষিপণ্যসহ বিভিন্ন খাতে বাণিজ্য বাড়ানোর আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং ডিজিটাল শিক্ষা ও ভাষাশিক্ষায় সহযোগিতা সম্প্রসারণের প্রস্তাব দেন।
 

শিক্ষা বিনিময়ে গুরুত্ব

বর্তমানে চীনে প্রায় ৪০০ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আমরা এই সংখ্যা আরও বাড়াতে চাই এবং তরুণদের চীনে পাঠিয়ে ভাষা ও প্রযুক্তি শিক্ষায় দক্ষ করে তুলতে আগ্রহী।”
 

সম্পর্কের ভবিষ্যৎ

দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের পঞ্চাশ বছর পূর্তিতে অভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং পারস্পরিক সমৃদ্ধির লক্ষ্যে আরও নিবিড়ভাবে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেন প্রধান উপদেষ্টা। বৈঠকে সিনিয়র সচিব ও এসডিজি সমন্বয়কারী লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।


সম্পাদকঃ সারোয়ার কবির     |     প্রকাশকঃ আমান উল্লাহ সরকার
যোগাযোগঃ স্যুইট # ০৬, লেভেল #০৯, ইস্টার্ন আরজু , শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণি, ৬১, বিজয়নগর, ঢাকা ১০০০, বাংলাদেশ।
মোবাইলঃ   +৮৮০ ১৭১১৩১৪১৫৬, টেলিফোনঃ   +৮৮০ ২২২৬৬৬৫৫৩৩
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫