উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সেই তফসিলে উপজেলা চেয়ারম্যানের জামানত করা হয়েছে এক লাখ টাকা, ভাইস চেয়ারম্যানের জামানত করা হয়েছে ৭৫ হাজার টাকা। যা যথাক্রমে ছিল ১০ হাজার ও ৫ হাজার টাকা। জামানতের এই অস্বাভাবিক বৃদ্ধি গণবিরোধী, যা কোনোক্রমেই মেনে নেওয়া যায় না। জনপ্রিয় গরিব ও মধ্যবিত্তের পক্ষে এই জামানত দিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়, উল্লেখ করে এটি বাতিলের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)।
শনিবার (২৩ মার্চ) বিকেলে সংবাদ মাধ্যমে সিপিবির সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্সের পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান তারা।বিবৃতিতে বলা হয়, দেশ কি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ নাকি ধনিক ও লুটেরাদের বাংলাদেশ? নির্বাচন কমিশন স্থানীয় সরকারসহ সব নির্বাচিত প্রতিষ্ঠান, দুর্নীতিবাজ ও ধনিক শ্রেণির হাতে তুলে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। যা এই সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের চরিত্র, বৈশিষ্ট্য ও দেউলিয়াত্মকে প্রকাশ করছে।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি তফসিলে ১ লাখ ও ৭৫ হাজার টাকা জামানতের ঘোষণা বাতিল ও যোগ্যতাসম্পন্ন সবাই যাতে ভোটে দাঁড়াতে ও ভোট দেওয়ার সমসুযোগ পায় সেই ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হচ্ছে। একইসঙ্গে ভোটের প্রচার প্রোপাগান্ডাসহ সব দায়-দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীনভাবে পালন করতে আইন প্রণয়নেরও দাবি জানানো হচ্ছে।