ত্বকের মেকআপ তোলার ক্ষেত্রে মাইসেলার ওয়াটার এখন অনেক জনপ্রিয়। ফরাসি এই প্রসাধনীর জনপ্রিয়তা দিনকে দিন বেড়েই চলেছে। সম্প্রতি টিকটকে মাইসেলার ওয়াটার দিয়ে চুলের যত্নের নানা ভিডিও প্রকাশিত হচ্ছে। রূপচর্চা বিশেষজ্ঞরাও সবুজ সংকেত দিয়ে ফেলেছেন। অর্থাৎ মাইসেলার ওয়াটারে চুলের যত্ন নেওয়া অসম্ভব কিছু নয়। কিন্তু মাইসেলার ওয়াটার দিয়ে চুলের যত্ন নেওয়ার ট্রেন্ডের পদ্ধতি অনুসরণ করা জরুরি।
মাথার চুলের ধুলাবালি দূর করতে
মাইসেলার ওয়াটার মাথার ত্বক ও চুলে জমে থাকা ধুলোবালি দূর করতে সাহায্য করে। এই প্রসাধনীতে থাকা মাইসেলগুলো সার্ফেক্ট্যাটের কাজ করে থাকে। ময়লা ও ব্যাকটেরিয়া আকর্ষণ করতে পারে বিধায় মাইসেলার ওয়াটার ব্যবহার করা যায়।
মাথার ত্বকে অতিরিক্ত তেল দূর করা
মাইসেলার ওয়াটার ব্যবহার করে মাথা পরিষ্কারের আরেকটি সুবিধা হলো মাথার ত্বকের তেল দূর করা। চুলের যত্নের ক্ষেত্রে সবার চুলেই মাইসেলার ওয়াটার কাজ করবে বিষয়টি এমন নয়। যাদের মাথা তেলত্যালে হয়ে ওঠে তাদের জন্য শ্যাম্পু দেয়ার পর মাইসেলার ওয়াটার দিয়ে পরিষ্কার করা যায়। মাথায় শ্যাম্পু করার পর সচরাচর সিবেসিয়াস গ্ল্যান্ড অতিরিক্ত তেল উৎপাদন করে। কারণ শ্যাম্পু তেল সরিয়ে দেয়। আর এই শূন্যতা পূরণের জন্য অনেকের মাথার ত্বকে বাড়তি তেল হয়।
কোঁকড়া চুলে সালফেট আতঙ্ক নয়
কোঁকড়া চুলের ক্ষেত্রে সালফেট একটি ক্ষতিকর রাসায়নিক। অনেক বিশেষজ্ঞ জানান, কোঁকড়া কিংবা ঢেউ খেলানো চুলে সালফেটসমৃদ্ধ শ্যাম্পু ব্যবহারে চুলের গঠন নষ্ট হয়। এই ধরনের শ্যাম্পু মাথার ত্বক শুষ্ক করে ফেলে। আর শুষ্ক চুল মাথার ঢেউ খেলানো ভাব নষ্ট করে। সেক্ষেত্রে মাইসেলিয়াম ওয়াটার দিয়ে চুল পরিষ্কার করলে ময়লা দূর হবে এবং সালফেটওয়ালা শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে না।
খুশকি দূর করতে
মাইসেলিয়াম ওয়াটার যেহেতু ব্যাকটেরিয়া ও ময়লা দূর করতে পারে সেহেতু খুশকি দূর করতেও সাহায্য করে।
কেমন চুলের যত্নে ব্যবহার করবেন
প্রায় সব ধরনের চুলেই মাইসেলার ওয়াটার ব্যবহার করা যায়। তবে যদি ব্যবহার করতেই হয় তাহলে তৈলাক্ত কিংবা রঙ করা চুলে এটি ব্যবহার করা বেশ কার্যকর। যারা চুলে রিবন্ডিং, ক্যামিকেল ট্রিটমেন্ট, ডিপ শাইন করে থাকেন তারা মাইসেলার ওয়াটার দিয়ে মাথার ত্বকের যত্ন নিতে পারেন।