মেট্রোরেলে ঢিল ছুড়ে কাচ ভাঙার ঘটনায় তদন্ত

মেট্রোরেলে ঢিল ছুড়ে কাচ ভাঙার ঘটনায় করা মামলায় প্রকৃত আসামিদের শনাক্ত করা যায়নি। তাই মামলাটি নিষ্পত্তির লক্ষ্যে চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে পুলিশ।
গত বছরের এপ্রিলে মেট্রোরেলে ঢিল ছুড়ে কাচ ভাঙার ঘটনায় রাজধানীর কাফরুল থানায় মেট্রোরেল আইনে প্রথম মামলা দায়ের হয়। ঘটনার পর পেরিয়ে গেছে প্রায় এক বছর। এ ঘটনায় কোনো আসামি শনাক্ত না হওয়ায় তদন্ত কর্মকর্তা কাফরুল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আব্দুল বাতেল আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) আদালতে কাফরুল থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক রয়েল জিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গতকাল সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মঈনুল ইসলামের আদালত পুলিশের দেওয়া এ চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করেন। চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মামলার অভিযোগে অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে মেট্রোরেল আইন-২০১৫ এর ৩৫ ও ৪৩ ধারাসহ দণ্ডবিধি ৪২৭ ধারায় অপরাধ প্রাথমিকভাবে সত্য প্রতীয়মান হয়েছে। কিন্তু মামলা হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন কলাকৌশলে তদন্ত অনুসন্ধান করা এবং সংঘটিত ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত রেলে স্থাপন করা সিসি ক্যামেরা পর্যবেক্ষণসহ ঘটনাস্থলের আশপাশের বিভিন্ন সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করে ঘটনার সঙ্গে জড়িত প্রকৃত আসামি শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। সেহেতু মামলাটি আরও তদন্ত করে ভবিষ্যতে সুফল পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া গেলে মামলা পুনরুজ্জীবিত করা হবে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৩০ এপ্রিল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মেট্রোরেলে ঢিল ছোড়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মেট্রোরেল আইন-২০১৫ এর ৩৫ ও ৪৩ ধারাসহ দণ্ডবিধি ৪২৭ ধারায় মামলা করেন মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। মেট্রোরেলের লাইন অপারেশন শাখার সহকারী ব্যবস্থাপক সামিউল কাদের বাদী হয়ে রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলাটি দায়ের করেন। এতে একাধিক অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়। এ ঘটনায় মেট্রোরেলের প্রায় দশ লাখ টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
সম্পাদকঃ সারোয়ার কবির | প্রকাশকঃ আমান উল্লাহ সরকার
যোগাযোগঃ স্যুইট # ০৬, লেভেল #০৯, ইস্টার্ন আরজু , শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণি, ৬১, বিজয়নগর, ঢাকা ১০০০, বাংলাদেশ।
মোবাইলঃ +৮৮০ ১৭১১৩১৪১৫৬, টেলিফোনঃ +৮৮০ ২২২৬৬৬৫৫৩৩
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫