|
প্রিন্টের সময়কালঃ ১৪ আগu ২০২৫ ০৯:৩৫ পূর্বাহ্ণ     |     প্রকাশকালঃ ১০ আগu ২০২৫ ১১:০১ অপরাহ্ণ

বিএনপি নেতা হেলাল উদ্দিন এর বিরুদ্ধে কাবিন ছাড়া বিয়ের অভিযোগ


বিএনপি নেতা হেলাল উদ্দিন এর বিরুদ্ধে কাবিন ছাড়া বিয়ের অভিযোগ


 

নিজস্ব প্রতিবেদক:-

 

 

হেলাল উদ্দিন মাস্টার তিনি ২ নং কড়ইচড়া ইউনিয়ন  বিএনপির সভাপতি। তিনি ছিলেন মহিষবাথান রসূল মনির  উচ্চ বিদ্যালয়ের  একজন সাবেক সহকারী শিক্ষক। শিক্ষকতা থেকে অবসর নেয়ার পর থেকেই করে যাচ্ছেন একের পর এক বিয়ে লোকমুখে শোনা যায় তিনি এ পর্যন্ত ৫-৬ টি বিয়ে করেছেন। এবং সবগুলোই কাবিন ছাড়া, সরকারি নিয়ম কানুন না মেনে। প্রায় এক মাস আগে তিনি এক বিধবা ৬ বাচ্চার মাকে মোছাম্মৎ আসমা কে বিয়ে করেন কাবিন ছাড়া সরকারের নিয়ম কানুন না মেনে। এই বিষয়ে আসমা  সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে আসমা  ফোন ধরেন, সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পর ফোনটি হেলাল উদ্দিন মাস্টার নিয়ে কথা বলেন তার কাছে  এই বিবাহের কাবিনের বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি জানান আসমার সাথে তার  এক সপ্তাহ আগে বিয়ে হয়েছে। কাজির নাম জিজ্ঞেস করা হলে তিনি কাজির নাম বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন। 

 

সাক্ষীর  নাম বললে তিনি বলেন তার বিয়েতে মোট তিনজন সাক্ষী রয়েছে, এনামুল, তোফাজ্জল, শফিকুল সাক্ষীদের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে দুইজন  জানান বিয়ের দিন তারা ঢাকায় ছিলেন এই বিয়ের বিষয়ে তারা কয়ে দিন পরে শুনেছি।একজন জানান তিনি সাক্ষী ছিলেন কিন্তু তিনি পর্যাপ্ত তথ্য দিচ্ছিলেন না। 

 

আসমাকে বিয়ের পর আসমাকে দিয়ে তিনি  পূর্বের ৬  সন্তানদের মধ্য হতে ছোট দুটি সন্তানকে ফেরত নিতে কোর্টে মামলা করিয়েছেন।আসমার মৃত স্বামীর ভাইদের নামে। হেলাল উদ্দিন মাস্টার আসমার পূর্বের স্বামীর ভাইদের নিয়মিত হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্ছেন আসমা পূর্বের  সংসারের বাচ্চাদের ফেরত দিতে।

 

অভিযোগে ওই নারীর পুত্র উল্লেখ করে লিখেছেন-‘আমার বাবা আনুমানিক বিগত ২ বছর পূর্বে মৃত্যু বরণ করেন। আমার বাবা মৃত্যুর আগে তার সকল  অর্থ ও স্বর্ণ সব কিছু আমার মার কাছেই রাখেন । বিগত ১ মাস আগে থেকে আমার মা বিএনপি নেতার সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলত। পরে বিএনপি নেতার কুপরামর্শে আমার মা  নগদ ১১ লাখ ৩৭ হাজার  টাকা ও ৩ ভরি স্বর্ণলংকায় নিয়ে তার বাড়ীতে চলে যায়। স্বর্ণের আনুমানিক বর্তমান বাজার মূল্য ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা। আমরা চার ভাই এক বোন। বর্তমানে আমরা খুবই কষ্টে দিন যাপন করছি। পরবর্তীতে আমি টাকা চাইতে গেলে মা টাকা দিতে অস্বীকার করে ও বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি প্রদান করেন।

 

এ বিষয়ে নিখোঁজ গৃহবধূর স্বজনরা জানান- তারা এ ঘটনায় হতবাক এবং লজ্জিত। লোকলজ্জার ভয়ে তারা এ বিষয়ে বিস্তারিত কথা বলতে রাজি হননি। তবে তারা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেছেন।


সম্পাদকঃ সারোয়ার কবির     |     প্রকাশকঃ আমান উল্লাহ সরকার
যোগাযোগঃ স্যুইট # ০৬, লেভেল #০৯, ইস্টার্ন আরজু , শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণি, ৬১, বিজয়নগর, ঢাকা ১০০০, বাংলাদেশ।
মোবাইলঃ   +৮৮০ ১৭১১৩১৪১৫৬, টেলিফোনঃ   +৮৮০ ২২২৬৬৬৫৫৩৩
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫