|
প্রিন্টের সময়কালঃ ১১ মার্চ ২০২৫ ০৪:৩০ পূর্বাহ্ণ     |     প্রকাশকালঃ ১০ মার্চ ২০২৫ ০৮:০৫ অপরাহ্ণ

ঋণের টাকা আদায়ে বিআরডিবি কর্মকর্তা, কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আদালতের নির্দেশ


ঋণের টাকা আদায়ে বিআরডিবি কর্মকর্তা, কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আদালতের নির্দেশ


আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:-


 

বিশ বছর আগে গ্রাহককে প্রদান করা ঋণের টাকা আদায় না করায় উদাসীনতার দায়ে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের (বিআরডিবি) রৌমারী উপজেলা কার্যালয়ের জড়িত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে চাকরিবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বিআরডিবির কুড়িগ্রামের উপপরিচালককে এই ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
 

রবিবার (৯ মার্চ) কুড়িগ্রাম চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের (রৌমারী আমলি) এই আদেশ বিআরডিবি কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে আসামির বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন আদালত।
 

বিআরডিবি কুড়িগ্রামের উপপরিচালক মো. নূর হোসেন মিয়া আদালতের আদেশের অনুলিপি পাওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
 

আদালত ও বিআরডিবি সূত্রে জানা গেছে, ২০ বছর আগে ২০০৪ সালে পল্লী উন্নয়ন বোর্ড (বিআরডিবি) কুড়িগ্রামের রৌমারী কার্যালয় থেকে পল্লী দরিদ্র বিমোচন কর্মসূচির (পদবিক) আওতায় ৯ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছিলেন উপজেলার নওদাপাড়া গ্রামের আকবর আলী (৪৯) নামে এক সদস্য। এক বছর মেয়াদি সেই ঋণ গত ২০ বছরেও পরিশোধ করেননি তিনি। সুদ-আসলে সেই ঋণ দাঁড়িয়েছে ৪০ হাজার ৩০০ টাকায়। নোটিশ দেওয়া হলেও সেই টাকা পরিশোধ করেননি আকবর আলী।
 

সম্প্রতি আকবর আলীর কাছে ঋণের টাকা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি আদালতে মামলা করেন বিআরডিবি রৌমারী শাখার মাঠ সংগঠক সিরাজুল ইসলাম শেখ। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি আকবর আলীর বিরুদ্ধে বিশ্বাস ভঙ্গ এবং প্রতারণার অভিযোগে সমন জারি করেন। একই সঙ্গে তার কাছে ঋণের টাকা আদায়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে উদাসীনতার অভিযোগ আনেন আদালত।

আদেশে আদালত বলেন, ‘দীর্ঘ ২০ বছর অতিবাহিত হলেও বিআরডিবি কর্তৃক ঋণের টাকা আদায়ে কার্যকর কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। যা থেকে প্রতীয়মান হয়, ঋণের টাকা আদায়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা উদাসীন, যা কোনোভাবে কাম্য নয়। আদালত মনে করেন যে, রাষ্ট্রীয় সম্পদ আদায়ে দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের এমন আচরণ চাকরিবিধি অনুযায়ী শাস্তির আওতায় আনা সমীচীন।’
 

আদেশে আদালত আরও বলেন, ‘বিআরডিবি পদবিক কর্মসূচির আওতায় রৌমারীতে কর্মরত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী যারা দীর্ঘ ২০ বছর গাফলতি করে ঋণ আদায় করেননি, তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে চাকরিবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য বিআরডিবি কুড়িগ্রামের উপপরিচালককে নির্দেশ প্রদান করা হলো।’ আগামী ২৭ মার্চ প্রতিবেদন প্রদানের তারিখ নির্ধারণ করেছেন আদালত।
 

এ বিষয়ে বিআরডিবি কুড়িগ্রামের উপপরিচালক মো. নূর হোসেন মিয়া বলেন, ‘আদেশের কপি পেয়েছি। ঋণ আদায়ে দায়িত্বশীল কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সব ধরনের চেষ্টাই করেন। শুধু কুড়িগ্রাম নয়, সারা দেশেই এমন ঋণের টাকা অনাদায় পড়ে আছে। তারপরও যেহেতু আদালতের আদেশ পেয়েছি, আমি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করবো। যদি কোনও কর্মকর্তা বা কর্মচারীর গাফিলতি পাওয়া যায় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হবে।


সম্পাদকঃ সারোয়ার কবির     |     প্রকাশকঃ আমান উল্লাহ সরকার
যোগাযোগঃ স্যুইট # ০৬, লেভেল #০৯, ইস্টার্ন আরজু , শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণি, ৬১, বিজয়নগর, ঢাকা ১০০০, বাংলাদেশ।
মোবাইলঃ   +৮৮০ ১৭১১৩১৪১৫৬, টেলিফোনঃ   +৮৮০ ২২২৬৬৬৫৫৩৩
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫