চায়না দুয়ারি জাল: উপকূলের মাছের অস্তিত্ব হুমকিতে

প্রকাশকালঃ ০২ অক্টোবর ২০২৪ ০৫:৫১ অপরাহ্ণ ৪৫৯ বার পঠিত
চায়না দুয়ারি জাল: উপকূলের মাছের অস্তিত্ব হুমকিতে

ঢাকা প্রেস
কুয়াকাটা প্রতিনিধি:-


পটুয়াখালী উপকূলের বিভিন্ন নদী-নালায় চায়না দুয়ারি জালের অবাধ ব্যবহার দেশীয় মাছের অস্তিত্বকে হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে। এই নিষিদ্ধ জালের ব্যবহার দিন দিন বেড়ে চলছে, ফলে ভবিষ্যতে উপকূলীয় এলাকা মাছশূন্য হয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

 

সরেজমিনে দেখা যায়, কলাপাড়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে এই জাল দিয়ে মাছ ধরা প্রায় একটি প্রতিযোগিতায় পরিণত হয়েছে। ছোট-বড় সব ধরনের মাছই এই জালের শিকার হচ্ছে। বর্ষা মৌসুমে মাছের প্রজননকালে এই সমস্যা আরও জটিল আকার ধারণ করে। ফলে নদী-নালায় মাছের সংখ্যা ক্রমশ কমে যাচ্ছে।
 

স্থানীয় জেলেরা জানান, চায়না দুয়ারি জালে মাছ ধরা সহজ এবং সাশ্রয়ী হওয়ায় বেশিরভাগ জেলেই এটি ব্যবহার করছেন। এছাড়া, অনেক মৌসুমি মৎস্য শিকারিও এই জালের দিকে আকৃষ্ট হচ্ছেন। ফলে পুরনো পদ্ধতিতে মাছ ধরার পেশাজীবীরা জীবিকার সংকটে পড়ছেন।
 

স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলছেন, এই জালে মাছের পাশাপাশি জলজ প্রাণী এবং মাছের ডিম পর্যন্ত আটকে যায়। ফলে কিছুদিনের মধ্যেই নদী-নালায় মাছের অস্তিত্ব লোপ পেতে পারে।
 

চায়না দুয়ারি জাল ব্যবহারকারীরা জানিয়েছেন, তারা জানেন এই জাল ব্যবহার করা নিষিদ্ধ, তবুও জীবিকার তাগিদে বাধ্য হয়ে এটি ব্যবহার করছেন।
 

কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা জানিয়েছেন, এই জাল মৎস্য আইনের বিরোধী এবং পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। মৎস্য অধিদপ্তর এই জালের ব্যবহার বন্ধে নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে।
 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম জানিয়েছেন, চায়না দুয়ারি জাল বন্ধে তাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

 

চায়না দুয়ারি জালের অবাধ ব্যবহার পটুয়াখালী উপকূলের জীববৈচিত্র্যের জন্য একটি গুরুতর হুমকি। এই সমস্যা সমাধানের জন্য কঠোর আইন প্রয়োগের পাশাপাশি সচেতনতা সৃষ্টি করা জরুরি। স্থানীয় জেলেরদের বিকল্প জীবিকা নির্বাহের ব্যবস্থা করাও সমান গুরুত্বপূর্ণ।