|
প্রিন্টের সময়কালঃ ২৩ আগu ২০২৫ ১১:৩৫ অপরাহ্ণ     |     প্রকাশকালঃ ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ ০২:৫৫ অপরাহ্ণ

তাসাউফ রিয়েল এস্টেট আকবর ও রাজউকের অথরাইজড অফিসার নুর আলমের ভূয়া নকশায় শতকোটি টাকার বানিজ্য


তাসাউফ রিয়েল এস্টেট আকবর ও রাজউকের অথরাইজড অফিসার নুর আলমের ভূয়া নকশায় শতকোটি টাকার বানিজ্য


নিজস্ব প্রতিবেদক:-


তাসাউফ রিয়েল এস্টেট এর শরীফ বিন আকবর খান ও রাজউকের নারায়ণগঞ্জ  আঞ্চলিক জোন-৮ এর সাবেক অথরাইজড  অফিসার  নুর আলমের ভূয়া নকশা দেখিযে ক্রেতাদের কাছ থেকে শত কোটি টাকা  হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে । ক্রেতা ছাড়াও ভূমি মালিকদের সাথেও প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে বিপাকে ফেলেছেন ভূমিদসু্্য আকবর খান। অনুসন্ধান সূত্রে বলছে ,  নুর আলম সাভার আঞ্চলিক অফিস ৩/১ এর অথরাইজড অফিসার এর দায়িত্বরত ছিলেন  তখন ভূমি দস্যু তাসাউফ রিয়েল এস্টেট লিঃ এর চেয়ারম্যান শরীফ বিন আকবর খানের সঙ্গে গভীর সখ্যতা গড়ে ওঠে। অন্যের জমিতে সাইন বোর্ড লাগিয়ে নিজের জমি বলে সৃজনকরা কাগজপত্র নুর আলমকে দিলে সে ভূয়া নকশা পাশ দেখিয়ে জনগনকে বোকা বানিয়ে তাসাউফ রিয়েল এস্টেট লিঃ এর হাউজিং প্লান পাস আছে বলে জণগনের কাছ থেকে কয়েকশত কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। এই জঘন্য কাজের বিনিময় প্রকৌশলী নুর আলম তাসাউফ এর কাছ থেকে কোটি টাকা ঘুষ গ্ৰহণ করে। এ ঘটনা চাউর হলে তার অপকর্ম আড়াল করতে ঢাকার বাইরে নারায়ণগঞ্জ পরে খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষে বদলি করা হয়। খুলনায় এখনও কোনো দপ্তর পাননি এ অসাধু কর্মকর্তা। তবে সাবেক কর্মস্থল সাভারের ঘুষের মোহ  প্রকৌশলী নুর আলম কে তাড়া করে। প্রায়ই নারায়নগঞ্জ থেকে সাবেক কর্মস্থল সাভার ছুটে আসেন। সেখান থেকে অতি গোপনে টাকার গন্ধে প্রতিদিন ছুটে যায় সাভার বিরুলিয়া সাদুল্লাপুর তাসাউফ রিয়েল স্টেট অফিসে। মাঝে মধ্যে তাসাউফ রিয়েল এস্টেট এর মিরপুর ১ এর মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটের অফিসে বসে দেন দরবার করে থাকেন  প্রকৌশলী নুর আলম। এসব বিষয় প্রকৌশলী নুর আলম এর কাছে  জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার সাথে তাসাউফের সাথে এখন কোন সম্পর্ক নেই।একসময় তাসাউফের সাথে আমার সম্পর্ক ছিল। বিশ্বস্থ সূত্র বলছে , তাসাউফ রিয়েল এস্টেট লিঃ এর চেয়ারম্যান শরীফ বিন আকবর খান বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে  আশুলিয়া ও যাত্রা বাড়িতে গুলি চালিয়ে মানুষ হত্যার দায়ে দুটি মামলার আসামি । তিনি  সাভার বিরুলিয়া সাদুল্লাপুর জনগণের কাছে এক মূর্তিমান আতঙ্কের নাম।

মামলা সূত্রে জানা যায় , বিগত ১৯ জুলাই ২০২৪ রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় ছাত্র জনতার উপর পুলিশ ও আওয়ামী লীগের ক্যাডাররা নির্বিচারে গুলি চালিয়ে হত্যা করেছে অনেক শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষকে। ওই ঘটনায় ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী মুজাহিদুল ইসলাম গুলি বিদ্ধ হয়ে দীর্ঘদিন চিকিৎসারত অবস্থায় ছিলেন। সুস্থ্য হয়ে আদালতে মামলা করেন যার নম্বর সি আর ৭৯৮/২৪ । অভিযোগে ৫৭ জনকে আসামি করা হয়।ওই নালিশি মামলায় উল্লেখ করা হয় শরীফ বিন আকবর খান আওয়ামী লীগ ও পুলিশকে সাথে নিয়ে হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে মানুষ হত্যা করেছে। আদালত সূত্রে আরো জানা যায় ০৫ অগাষ্ট সাভার আশুলিয়ায় পুলিশ আওয়ামীলীগকে সাথে নিয়ে শরীফ বিন আকবর খান ছাত্র জনতার উপর বৃষ্টির মতো গুলি করে প্রায় ৯০ জন মানুষ হত্যা করেছে। শুধু মানুষ হত্যা করে ক্ষান্ত হয়নি মৃত লাশকে পুড়িয়ে নৃত্য করেছে শরীফ বিন আকবর খান। ওই ঘটনায় সিজিএম আদালতে গুলি বিদ্ধ জাফের আলী সরদার বাদী হয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান করে ৭৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন যার নং ১৩১৬/২৪ । মামলায় আওয়ামীলীগ নেতাদের সাথে থেকে শরীফ বিন আকবর খান গুলি চালিয়ে মানুষ হত্যা করেছে। তার বিরুদ্ধে দুটি মামলা হলেও সে এখন বহাল তবিয়তে তার প্রতারণামূলক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। তার মীরপুর- ১ এ মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটে ব্যবসায়ীক অফিস  করলেও আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাদের অর্থ যোগান দিয়ে আসছে।

এদিকে হত্যা,সন্ত্রাস ও ধর্ষণ যার নিত্যদিনের কাজ। সাভার বিরুলিয়া সাদুল্লাপুর একযুগ ধরে রামরাজত্ব চালিয়ে যাচ্ছে শরীফ। ছিঁচকে চোর থেকে আজ ৫ শত কোটি টাকার মালিক। হত্যা, সন্ত্রাস,গুম,খুন যার নিত্যদিনের কাজ।
তথ্য সূত্রে জানা যায়, সাভার বিরুলিয়া ইউনিয়নের সাদুল্লাপুর মৌজায় ভূমি দস্যু শরীফ বিন আকবর খান সাধারণ ভূমি মালিকদের জমি বায়না দলিল করে জোর পূর্বক দখল করে নেয়। একসময় এলাকার সবচেয়ে বড় রিয়েল এস্টেট কোম্পানি দক্ষিণ সিটির সাথে তার জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। তখনও দক্ষণ সিটির জমি নিজের জমি দাবি করে তাসাউফ রিয়েল এস্টেট কোম্পানি লিমিটেড এর সাইন বোর্ড ঝুলিয়ে দিয়ে নিজের জমি বিক্রি করা শুরু করে দেয়। সাদুল্লাপুর এলাকা ঘুরে জানা যায় , অন্যের জমিতে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে সাধারণ ক্রেতাদের বোকা বানিয়ে জমি বিক্রির নামে করে প্রতারণা  করে হাতিয়ে নিয়েছে শত শত কোটি টাকা।

দখিনা সিটির মালিক কর্ণেল ( অবঃ) আযম সাহেবের সাথে এবিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, শরীফ একজন বাজে লোক সে মানুষের জমিতে 
সাইন বোর্ড ঝুলিয়ে নিজের বলে দাবি করে অন্যের কাছে আবার বিক্রির উদ্দেশ্যে বায়না করে। পরবর্তীতে জমি দিতে না পেরে একটি ব্যাংকের চেক ধরিয়ে দেয়। সময় মত টাকা দিতে না পারলে পাওনাদার তার বিরুদ্ধে মামলা দেয় এরকম মামলা তার বিরুদ্ধে কয়েক ডজন।সে আমার জমিতে হাত দিয়ে সুবিধা করতে পারেনি আমি কড়ায় গন্ডায় বুঝিয়ে দিয়েছি।

এলাকা ঘুরে আরো জানা যায় , শরীফ সাধারণ মানুষের কাছ থেকে তার নির্ধারিত কিছু দালালের মাধ্যমে জমি ক্রয় করার নামে বায়না করে নামে মাত্র দুই/ তিন লাখ টাকা দিয়ে আর টাকা না দিয়ে পুরো জমি দখল করে নেয়। যদি কেউ তার সাথে কঠোর হয় তাহলে তাকে মেরে বালু চাপা দিয়ে রাখার ঘটনাও ঘটেছে বলে জানিয়েছেন এলাকার হত দরিদ্র মানুষেরা।

তথ্য সূত্রে আরো জানা যায়,সে মীরপুর -১ এর আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় অর্থ যোগান দাতাদের মধ্যে একজন ছিলেন। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বিগত ৫ আগষ্ট নারকীয় হত্যাযজ্ঞে শরীফ বিন আকবর খান সামনে থেকে নেতৃত্ব প্রদান করেন। তার নেতৃত্বে হাজার খানেক আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা কর্মীরা নিরস্ত্র ছাত্র জনতার উপর দেশী বিদেশী অস্ত্র নিয়ে হায়নার মত ঝাপিয়ে পড়ে। এ দিন তাদের আক্রমণে প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনগণের প্রাণ হারাতে হয় । ধরা ছোঁয়ার বাহিরে থেকে আওয়ামী লীগকে অর্থ যোগান দিয়ে আসছে। আওয়ামী লীগের সকল শ্রেণীর নেতা কর্মীদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে আসছেন। 

একটি বিশ্বস্থ সূতের দাবি , আকবর খান ছিলেন অত্যান্ত নারী লোভি। নারীদের প্রতি তার আলাদা সখ্যতা রয়েছে। রেহানা নামের এক ললিতাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দিনের পর দিন ভোগ করে আসছে। আবার  রেহানাকে দিয়ে টোপে ফেলে উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের বেডপার্টনার করার ও অভিযোগ রয়েছে তার বিরু্দ্ধে। সুযোগ কাজে লাগিয়ে অশ্লীল ছবি তুলে সোস্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করার ভয়দেখিয়ে অনেক বড় বড় কর্পোরেট শাখার কাজি বাগিয়ে নিতেন। তার কথার অবধ্য হলে রেহানাকে এভাবে ব্লাকমেইল করে বাগে আনতেন। এছাড়াও শরীয় বিন আকবর তুরাগ তীরে বোর্ড ক্লাবের স্থায়ী সদস্য। মদ ও নারী হলো তার নিত্যদিনের সঙ্গী। ঢাকার বড় বড় শীল্পপতিদের সাথে তার উঠা বসা, এক সাথে মদ পান ও নারীবাজী করে তার ব্যবসার পরিধি বৃদ্ধি করেছে। বিভিন্ন এমপি, মন্ত্রীদের নারী ও নেশায় মত্ত করে সুযোগ বুঝে ফায়দা হাসিল করে নেয়।

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, রাঁধা কৃষ্ণের ছেলে বিনয় কৃষ্ণ তাঁর কাছে জমি বিক্রির উদ্দেশ্যে বায়না দলিল দেন। পরবর্তীতে জমির মূল্য পরিশোধ করে দলিল নেয়ার কথা বললে শরীফ ক্ষেপে গিয়ে তাকে চড় থাপ্পড় মেরে তাড়িয়ে দেয়। আর বলে, তোর জমির টাকা নিয়ে গেছ আবার কিসের টাকা দেব। পরদিন থেকে আজ পর্যন্ত বিনয় কৃষ্ণের খোঁজ পাওয়া যায় নি। তার বাবা রাঁধা কৃষ্ণ ছেলের খোঁজে পাগল প্রায়। সেই জমিটা ও শরীফ দখল করে অন্যের কাছে বিক্রি করে দেয়। এভাবে করে মানুষের কাছ থেকে প্রতারণা করে সন্ত্রাস কায়দায় শত শত কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন তিনি।শরীফের কথার অবাধ্য হলে হতে হয় লাশ। ভুক্তভোগী জমির ক্রেতারা জমি পাওয়ার জন্য শরীফ বিন আকবর খান ও প্রকৌশলী নুর আলমের কাছে ধর্ণা দিয়ে কোনো লাভ হচ্ছেনা।  জমির দলিল চাইতে নাজেহাল হচ্ছে পদে পদে। শরীফ বিন আকবর ও রাজউক এর ভুয়া অথরাইজড কর্মকর্তা পরিচয় দেয়া নুর আলমের লাগাম টেনে ধরার এখনই উপযুক্ত সময়।


সম্পাদকঃ সারোয়ার কবির     |     প্রকাশকঃ আমান উল্লাহ সরকার
যোগাযোগঃ স্যুইট # ০৬, লেভেল #০৯, ইস্টার্ন আরজু , শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণি, ৬১, বিজয়নগর, ঢাকা ১০০০, বাংলাদেশ।
মোবাইলঃ   +৮৮০ ১৭১১৩১৪১৫৬, টেলিফোনঃ   +৮৮০ ২২২৬৬৬৫৫৩৩
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫