প্রকাশকালঃ
০৬ এপ্রিল ২০২৩ ০১:৪৮ অপরাহ্ণ ৩৫২ বার পঠিত
শীতের পর বসন্ত সমীরণ আর অবশেষে চৈত্রের দাবদাহ। কদিন ধরে বৃষ্টির কারণে আবহাওয়াটাও কিছু অন্যরকম। এই আবহাওয়ার পালাবদলে মরশুমের অনেক অত্যাচার সহ্য করতে হয় শরীরকে। আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় ত্বকের দফারফা হওয়াটাও অস্বাভাবিক নয়। আর ব্যস্ত নারীর ক্ষেত্রে অনিয়মিত যত্ন, অবহেলা তো এই সমস্যার ওপরি পাওনা। তাই আবহাওয়ার টানাপোড়েনে ত্বকের যত্নে হালকা একটু সময় বের করলেই হয়। সে বিষয়ে রইলো পরামর্শ:
আর্দ্রতা মোকাবেলা করুন
ঋতু বদল আর মৌসুমের গড়পতনে আর্দ্রতার পরিবর্তনও ঘটে। গরমে বাতাসে জলীয় বাষ্প বাড়ে বলে ত্বক শুষ্ক না থাকলেও তৈলাক্ত হয়ে উঠতে পারে। আবার ঘামে ভিজে জ্বলুনিতে ত্বকের ক্ষতি হয়। তাপমাত্রা বাড়লে ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখার বিষয়ে আমরা অত মাথা ঘামাই না। কিন্তু এমনটা করবেন না। ত্বকের যত্নে ঋতুভেদে রুটিনে পরিবর্তন আনুন। ঋতু বদলের সঙ্গে সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিন।
রোদের গড়পতন
সারা বছরই সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। এমনটা তো বহুবারই বলা হচ্ছে। কিন্তু ক'জনই বা মেনে নেন? খুব কম মানুষই মানেন। এইযে কদিন মেঘলা আকাশ আর চনমনে বাতাস, অনেকেই দেখা যাচ্ছে সানস্ক্রিনের কথা ভুলে গেছেন। কিন্তু সানস্ক্রিনের গুরুত্বটা আপনারা বুঝতে পারছেন না। মেঘলা হোক কিংবা ভীষণ রোদ, সূর্যের আলোকরশ্মি ঠিকই আছে। এই ক্ষতি আটকাতে হলে সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। আর সানস্ক্রিন বাছাইয়েও বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিতে হবে।
জীবাণুর সংক্রমণ রুখে দিন
গরমে আর বর্ষায় ত্বকের সংক্রমণ বাড়ে। বিশেষত বৃষ্টিপাত হলে বা রোদের নিচে ঘেমে-নেয়ে একাকার নিয়মিত হলে ত্বকে জীবাণুর সংক্রমণ বাড়া খুবই স্বাভাবিক। এজন্য নিমপাতা, কর্পূর, তুলসী বা পুদিনা গোসলের পানিতে মিশিয়ে নিন। আপনার ত্বকের জীবাণু দূর হলে ঘামের দুর্গন্ধও দূর হবে।