|
প্রিন্টের সময়কালঃ ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১১:১৩ অপরাহ্ণ     |     প্রকাশকালঃ ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৪:৪২ অপরাহ্ণ

৬ বিঘা জমিতে ইরি চাষ করতে পারছেন না কৃষক মোজাহেদুল


৬ বিঘা জমিতে ইরি চাষ করতে পারছেন না কৃষক মোজাহেদুল


সিরাজুল ইসলাম রতন,গাইবান্ধা প্রতিনিধি:-



প্রতিপড়্গের বাঁধার মুখে ৬বিঘা জমিতে ইরিধান চাষ করতে পারছেন না গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার উদাখালি ইউনিয়নের উত্তর কাঠুর গ্রামের অসহায় কৃষক মোজাহেদুল ইসলাম বাবলু। এমনকি প্রতিপক্ষের হুমকিতে সেচপাম্পের মালিক আব্দুল করিমও তার জমিতে পানি সেচ দিচ্ছেন না। ফলে ন্যায় বিচারের আশায় তিনি প্রভাবশালীদের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরছেন। গাইবান্ধা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে মঙ্গলবার আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কৃষক মোজাহেদুল ইসলাম বাবলু এসব তথ্য জানান। 

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, কৃষক মোজাহেদুল ইসলাম বাবলুর সাথে একই গ্রামের হযরত আলী, গোলাম মোস্তফা ও মনু মিয়ার জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। তিনি পরিবার-পরিজন নিয়ে শান্তিতে বাস করছিলেন। তিনি তার জোত জমি আলিম উদ্দিন ও সাহার আলীর কাছ থেকে বিনিময় দলিলের মাধ্যমে স্বত্ত্ববান হন। 


বিনিময় দলিল হাতে পাওয়ার পর দেখা যায় যে, তার চাচা সাহার আলী ভাতিজা আলিম উদ্দিনকে ৫/৬ বিঘা জমি কম দিয়ে ভাগ বাটোয়ারা করে দেয় যা ইতোপূর্বে তার জানার বাইরে ছিল। শুধু তাই নয়, ২০০/৭০-৭১ মিস এক্সেচেঞ্জের ভিত্তিতে বাংলাদেশ সরকার চিরস্থায়ী বন্দোবস্তর ১৯৭৫ সালের ১৪ এপ্রিল ২২৬৬১ নং দলিল মূলে আলিম উদ্দিন ও সাহার আলী বাদি হয়ে রংপুর সাব জজ আদালতে ৬৪/৮০ নং মোকদ্দমায় ১৯৮১ সালের ৩১ আগস্ট সোলেনামা সূত্রে রায় ডিক্রি লাভ করেন। এখানেও আলিম উদ্দিন অর্ধেক জমির মালিক হিসেবে প্রমাণ পাওয়া যায়। এমতাবস্থায় আলিম উদ্দিন দলিল ও প্রমাণের ভিত্তিতে ১৫ একর ৮৫ শতক জমিতে সাহার আলীকে বিবাদী করে ৩১/৯৯ নং বাটোয়ারা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় আলিম উদ্দিন দলিলের হিস্যা অনুসারে ২০০১ সালের ১৬ অক্টোবর ৭ একর সাড়ে ৯২ শতকের রায় পান। পরে সাহার আলীর ওয়ারিশগন গাইবান্ধা জেলা অতিরিক্ত জজ আদালতে ১৫১/২০০১ নং আপিল দায়ের করেন। ২০২৪ সালের ২৭ অক্টোবরে আপিলেও তারা হেরে যান। পরে সাহার আলীর ওয়ারিশগন মহামান্য হাইকোর্টে আপিল দায়ের করেন। হযরত আলী, গোলাম মোস্তফা ও মনু মিয়া পতিত ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগের দোসর। তারা এখনও বিনিময় দলিল সূত্রে দাবিকৃত ৫/৬ বিঘা জমি না দেওয়ার তালবাহানা করে যাচ্ছেন। প্রতিপক্ষ ভূমিদস্যুরা তার পরিবারের লোকজনের ওপর কয়েকবার হামলা করে। ভূমিদস্যুরা গাছপালাও কেটে নিয়ে যায়। তারা বর্তমানে মোজাহেদুল ইসলাম বাবলুর পরিবারকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে। 


সংবাদ সম্মেলনে অসহায় বাবলুর পরিবার জীবনের নিরাপত্তা ও জমিতে অধিকার প্রতিষ্ঠায় প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জরুরি পদক্ষেপের আবেদন করেছেন। সংবা সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাবলুর বৃদ্ধ শ্বাশুরী অমিচা বেগম, বুলাহিন বেগম, ফুলেরা বেগম, সখিনা বেগম, ইতি খাতুন, রেজাউল করিম, শিশু বাচ্চা হাবীব মিয়া।


সম্পাদকঃ সারোয়ার কবির     |     প্রকাশকঃ আমান উল্লাহ সরকার
যোগাযোগঃ স্যুইট # ০৬, লেভেল #০৯, ইস্টার্ন আরজু , শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণি, ৬১, বিজয়নগর, ঢাকা ১০০০, বাংলাদেশ।
মোবাইলঃ   +৮৮০ ১৭১১৩১৪১৫৬, টেলিফোনঃ   +৮৮০ ২২২৬৬৬৫৫৩৩
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫